ভারতে প্রথম শনাক্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কম শক্তিশালী। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) এক রিপোর্টে যুক্তরাজ্যের পাবলিক হেলথ সার্ভিস এই তথ্য সামনে এনেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।
যুক্তরাজ্যের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে যত মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, ওমিক্রনের প্রভাবে তার চেয়ে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ কম মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
এর থেকেই স্পষ্ট, ওমিক্রনের শক্তি ডেল্টার চেয়ে কম। তবে একই সঙ্গে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওমিক্রনের সংক্রমণ ডেল্টার চেয়েও তীব্র। ফলে নতুন ভ্যারিয়েন্টে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে বেশি।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ অবশ্য একইসঙ্গে সতর্কবার্তাও জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, যে গবেষণায় এই ফলাফল মিলেছে, তা খুবই কম নমুনার ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়েছে। আর তাই ফলাফলটিকে প্রাথমিক হিসেব বলে ধরে নেওয়াই ভালো। এ বিষয়ে আরও গবেষণা হচ্ছে।
তবে একই সঙ্গে তাদের দাবি, এতোদিন ধরে ওমিক্রন নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে, তার অধিকাংশতেই দেখা গেছে, ডেল্টার চেয়ে ভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট কম শক্তিশালী।
অবশ্য শক্তি কম থাকলেও ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। ফলে নতুন ভ্যারিয়েন্টকে দুর্বল ভেবে অবহেলা করলে চলবে না বলে জানিয়েছে লন্ডনের স্বাস্থ্য বিভাগ। এর পাশাপাশি সামাজিক বিধিনিষেধগুলোও মেনে চলতে হবে।
যুক্তরাজ্যের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, তরুণদের মধ্যে অথবা অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের মধ্যে ওমিক্রন ছড়ানোর প্রবণতা বেশি। হাসপাতালে যাদের ভর্তি করতে হয়েছে, তার মধ্যেও তরুণের সংখ্যা বেশি।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, করোনার দু’টি ডোজ টিকা নেওয়া থাকলেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে বুস্টার ডোজের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত সকলকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষণাতেও ওমিক্রন নিয়ে একই ধরনের ফলাফল পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কোনো দেশই ওমিক্রনকে অবহেলা করছে না। কারণ ভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমক ক্ষমতা বেশি।