আজ বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জাল দলিলের স্বাক্ষীও জাল! ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, আনোয়ারা : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:২০:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ভুক্তভোগি আলী আকবর সুমন

আনোয়ারায় জাল-জালিয়াতি কবলার ভেতর স্বাক্ষীও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এতে করে প্রতিপক্ষের মামলার আসামী হয়ে ঘর ছাড়া হয়েছে ওই স্বাক্ষী। বুধবার বিকালে উপজেলার কালাবিবির দিঘির মোড়ে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই অভিযোগ এনে নিজের নাম প্রত্যাহার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মুহাম্মদ আলী আকবর সুমন (৪০)। আলী আকবর স্থানীয় ঝিওরী গ্রামের মো. মুছার ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম জিয়া,, আবদুর নুর, মো. মুবিন ও মো. ইদ্রীস।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলী আকবর সুমন বলেন, স্থানীয় আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তি ১৯৬৬ সালের ২০ এপ্রিল মারা যান। এসময় তার কোন ওয়ারিশ ছিলনা। কিন্তু নামের মিল রেখে অপর মৃত আবদুল জলিলের সন্তানরা নিঃসন্তান আবদুল জলিলের নামে জাল-জালিয়াতি করে জমির দলিল সৃজন করে। ওই দলিলে স্বাক্ষী রাখেন আমাকে। কিন্ত আমি এ বিষয়ে কোন প্রকার অবগতও নয়। পরে ক্ষতিগ্রস্থ মো. ইদু মিয়া (৪২) আদালতে মামলার পর জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হলে মৃত আবদুল জলিলের পুত্র আব্দুল মান্নান (৪৯) ও দরপ আলীকে (৫২) গ্রেপ্তার করে। একই মামলায় আমার বিরুদ্ধেও ওয়ান্টে হয়। এই জাল-জালিয়াতিতে আমি কোন প্রকার জড়িত নই।

 জাল-জালিয়াতি দলিলের বিষয়ে অপর স্বাক্ষী মো. মোক্তার হোসেন বলেন, আমি আলী আকবর সুমনকে চিনিও না এবং বিষয়টি সম্পূর্ণ জালিয়াতি করে রেজিস্ট্রেরি অফিসের আরিফ নামের এক ব্যক্তি। এবিষয়ে আলী আকবর সুমনসহ আমরা কিছুই জানিনা।

এবিষয়ে আরিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি রেজিস্ট্রারি অফিসের স্টাফ, এখানে অনেকেই কাগজপত্র নিয়ে আসে, অনুরূপ আবদুল মান্নানরাও এসেছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকায় তাদের জমি রেজিস্ট্রারি করেছি। জালিয়াতির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।