কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৌর শহরের বিভিন্ন ঔষধ ফার্মেসীতে প্রশাসন ও র্যাব ১৫-এর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালিয়ে
বিপুল পরিমাণ নিবন্ধনবিহীন, নিষিদ্ধ ও ভেজাল ঔষধ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত উজ জামান
এ অভিযান পরিচালনা করেন।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া পৌরশহরের হাসপাতাল সড়কে বিভিন্ন ঔষধ ফার্মেসীতে দীর্ঘদিন ধরে বেশকিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিবন্ধনবিহীন, নিষিদ্ধ ও ভেজাল ঔষধ বিক্রি করে আসছিল। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল সড়ক এলাকায় ৪টি ফার্মেসীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ঔষধ, অনুমোদনহীন ভেক্সিন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ও ফুড সাপ্লিমেন্ট ঔষধ উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। পরে অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত উজ জামান ওই সব ঔষধের ফার্মেসীকে ড্রাগ এ্যাক্ট ১৯৪০ এর ১৮ ধারা লঙ্গন করার অপরাধের দায়ে উক্ত আইন মোতাবেক অর্থদণ্ড প্রদান করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধের দায়ে যেসব ফার্মেসীকে অর্থদণ্ড প্রদান করেছে তা হলো, শাহ আমিন ফার্মেসীকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, আর এস মেডিকোকে ৩০ হাজার টাকা, আর এস ফার্মেসী এন্ড ভেটেরিনারিকে ৫০ হাজার টাকা, শাহ আকতারিয়া ফার্মেসীকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
অভিযানের সময় কক্সবাজার ড্রাগ সুপার, র্যাব-১৫ কক্সবাজার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ভ্রাম্যমাণ আদালতের প্রসিকিউটর ও ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে নেতৃত্বে দেয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত উজ জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চকরিয়া পৌরশহরে হাসপাতাল সড়কে ৪টি ফার্মেসীতে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ নিবন্ধনবিহীন, নিষিদ্ধ ও ভেজাল ঔষধ জব্দ করা হয়েছে। ফার্মেসী থেকে উদ্ধারকৃত এসব ঔষধ রাখা ও বিক্রির দায়ে ড্রাগ এ্যাক্ট ১৯৪০ এর অপরাধের দায়ে ওই ৪টি ফার্মেসীকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় যে সমস্ত ফার্মেসী থেকে নিবন্ধনবিহীন, নিষিদ্ধ ও ভেজাল ঔষধ জব্দ করা হয়েছিল তা জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়। প্রশাসনের এ ধরণের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।