প্রশাসনের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্যের বাংলো ও কার্যালয়, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর এবং প্রভোস্টদের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এসব স্থানে তালা দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু কেন্দ্রের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবি ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- যাদের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংসভাবে হামলা করা হয়েছে- সেই প্রক্টরিয়াল বডি এবং সকল হল প্রভোস্ট, ভিসি ও প্রো-ভিসিকে (একাডেমিক ও প্রশাসনিক) পদত্যাগ করতে হবে।
নতুন প্রশাসন নিয়োগের ক্ষেত্রে চিহ্নিত দালালদের (সন্ত্রাস ও স্বৈরাচারের সহযোগী, দুর্নীতিবাজ, অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃত) পদায়ন করা যাবে না। এক্ষেত্রে আমাদের মতামতের ভিত্তিতে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। গত দুই বছরে অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃত (অস্থায়ী) সকল নিয়োগ বাতিল করতে হবে। দ্রুত হল খুলে দিয়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সিট বারাদ্দ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে অনলাইনে ফরম দিতে হবে। পূর্বের সংগ্রহিত ফরম বাতিল বলে গণ্য হবে। অছাত্র, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা (তাদের তালিকা আমাদের নিকট সংগৃহিত আছে) আবাসিক হলে থাকতে পারেব না। নতুন প্রশাসনকে আগামী ৪ মাসের মধ্যে চাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল দাবী শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরবর্তীতে প্রশাসনিক বিভিন্ন কার্যালয়ে তালা দেন তারা। প্রশাসন পদত্যাগ করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন তারা।