সব জটিলতা কাটিয়ে অক্টোবরেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত পতেঙ্গা বে টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি গভীর সুমদ্র বন্দরের। একই দিন পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের কার্যক্রমও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তিন মেগা প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা।
আগামী দিনে দেশে অর্থনীতির গেম চেঞ্জার হচ্ছে পতেঙ্গা বে টার্মিনাল ও মহেশখালীর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর। এ দুটি মেগা প্রকল্প ২০২৬ সালের মধ্যে অপারেশনে যাওয়ার কথা। তবে নানা জটিলতায় দুটিরই কাজ শুরুতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘসূত্রতা। আর পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের কাজ শেষ হয়েছে অন্তত এক বছর আগে। কিন্তু দেশি না বিদেশি হবে অপারেটর - সেই জটিলতায় অপারেশনে যেতে পারছে না টার্মিনালটি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের নির্মাণ কাজ আমরা শেষ করে ফেলেছি। সহসাই গ্লোবাল অপারেটর কাজ শুরু করবে এখানে। এরই মধ্যে আমরা কনসালটেন্ট নিয়ে এখানে কাজ শুরু করে দিয়েছি।’
দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ টার্মিনালে একযোগে ৩টি জাহাজ অবস্থানের পাশাপাশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হবে ৫ লাখ। আর ৮০৩ একর জায়গার ওপর ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বে টার্মিনালে বছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হবে ৫০ লাখের বেশি। যে কোনো আকারের জাহাজ ভিড়তে পারবে এখানে। এছাড়া মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দরে খরচ হবে ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো। এখনো বন্দর হিসাবে গড়ে না উঠলেও এখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবাহী ৭টি জাহাজ ভিড়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, বর্তমানে বছরে চট্টগ্রাম বন্দর ৩২ লাখের বেশি কন্টেইনার এবং ১১ কোটি মেট্রিক টন কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিং করছে। এছাড়া এ বন্দরে বছরে জাহাজ আসে ৪ হাজারের বেশি।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, অপারেশন শুরু হলে নতুন তিনটি মেগা প্রকল্প দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, ‘আমরা বড় বড় তিনটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আশা করছি, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে অথবা অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ৬২ হাজার কোটি টাকার এ তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। আমরা ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে চাই।