দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জনাব আলীম উল্লাহ দুই উপজাতি সকলতি ত্রিপুরা ও সবিরানী ত্রিপুরা হত্যার অপরাধে আসামী আবুল হোসেন ৩০২/৩৪ ধারায় মৃত্যু দন্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা প্রদান করেন এবং মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় অপর আসামি ওমর হায়াত মানিকে খালাস প্রদান করেন।
বিগত ১৮/০৫/১৮ ইং তারিখে সীতাকুণ্ড থানাধীন জঙ্গল মহাদেব পাহাড়ী এলাকায় এই দুই আদিবাসী কে আবুল হোসেন সহ অজ্ঞাত ৩ জন হত্যা করে। মামলার তদন্তকালীন সময়ে এই মামলার একজন অভিযুক্ত রাজীব দুষ্কৃতকারীর গুলিতে মারা যায়। পরবর্তীতে তদন্ত কারী কর্মকর্তা এই দুইজনকে আসামী করে চার্জশিট দাখিল করে। মামলাটি পরবর্তীতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলী হয়ে আসলে ট্রাইব্যুনাল মামলা নং ০২ /২২ এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বমোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আসামী তার ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে সে ও তার দুই সহযোগী মানিক ও রাজিব মিলে এই দুইজনকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে হত্যাকাণ্ড সম্পাদনের বর্ননা দেয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তার অবহেলা, তদন্তে গাফিলতির কারনে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য যে, দুইজন আসামী রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল হোসেনকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করেন ও খালাস প্রাপ্ত অপর আসামি মানিককে মামলার দায় হতে মুক্তি প্রদান করেন।