করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে। এই টিকাদান চলবে ১০ জুন পর্যন্ত। শনিবার (৪ জুন) সকাল ৯টায় সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
স্থায়ী কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি বুস্টার ডোজ প্রয়োগে মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দুটি করে কেন্দ্র করা হচ্ছে বলে জানান চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০০ জন করে এক ওয়ার্ডে দিনে মোট ৬০০ জনকে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
জানা গেছে, আগামী ১০ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৭ হাজার জনকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। ফলে যারা করোনার বুস্টার পায়নি তারা টিকা নিতে পারবেন। এজন্য মোবাইলে এসএমএস আসার অপেক্ষা করতে হবে না।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, নগর এবং জেলার সব টিকাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এজন্য টিকা কার্ড অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। বুস্টার ডোজের পাশাপাশি কোভিড টিকা দেওয়ার স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে। টিকার সম্পূর্ণ সুফল পেতে অবশ্যই তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিতে হবে। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের চার মাস পার হলেই ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী সবাই করোনার টিকার বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
স্থায়ী কেন্দ্রের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আর অস্থায়ী কেন্দ্রের মধ্যে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ে, পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে, গ্রামের ক্ষেত্রে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে অস্থায়ী কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে।