চট্টগ্রাম শহরের প্রবেশমুখ শাহ আমানত সেতু এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর টোলের দুই পাশে যানবাহনগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষ। চালকদের অভিযোগ টোল কালেকশনে ধীরগতির কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া সেতুর উত্তরপ্রান্ত এলাকায় বশরুজ্জামান চত্বরের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীদের ওঠা-নামার জন্য এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেলে সরেজমিনে সেতু এলাকায় দেখা যায়, সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে টোলের একপাশে কক্সবাজার থেকে আসা যানবাহনের সারি টোল রোড থেকে কলেজ বাজার এবং ক্রসিং মোড় পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া শহর থেকে কক্সবাজার সড়কের দিকের গাড়ি টোল প্লাজা থেকে ব্রিজের মাঝামাঝি পর্যন্ত যানজট চলে গেছে।
চালক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, শাহ আমানত সেতুর টোল দ্রুত কালেকশন করা হচ্ছে না। এছাড়া টোল প্লাজার পাশেই মইজ্জারটেক পশুর হাট। এখানে গরুবাহী ট্রাক ঢুকছে এবং বের হচ্ছে। এছাড়া সড়কের ওপর রাখা হয়েছে গরু।
যানজটে আটকে পড়া বাসচালক নাছির উদ্দিন বলেন, এমনিতে গাড়ির চাপ বেশি। তার ওপর টোল কালেকশন দ্রুত করা হচ্ছে না। সবমিলিয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে দায়িত্ব পালন করা কর্ণফুলীর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) শাহ মো. আরিফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ধীরগতিতে গাড়ি টোল প্লাজা পার হচ্ছে। এ কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজার ইনচার্জ অপূর্ব সাহাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সেতুর উত্তর প্রান্তে দায়িত্ব পালন করা বাঁকলিয়া পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, জনবল কম। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।