কক্সবাজারের চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল মাঠে এরশাদ আলী (২৮) নামে ঔষধ কোম্পানির এস আরকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার রাত দশটার দিকে হাসপাতাল মাঠের মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ আলী কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওষুধ কোম্পানি হেলথ কেয়ারের এসআর হিসেবে কর্মরত ছিল।
এ ঘটনায় পুলিশ জড়িত সন্দেহে আশিক বিল্লাহ (৩৪) নামের একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে। ঘটনার পর আশিক বিল্লাহ ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া মোটর সাইকেল নিতে আসলে আটক করা হয়।
আটককৃত আশিক বিল্লাহ একই ওষুধ কোম্পানির চকরিয়া ডিপোর এমআর।
ঘটনার সময় হাসপাতালের মসজিদে এশার নামাজ পড়ছিলেন বেশ কয়েকজন মুসল্লী। জানতে চাইলে তারা বলেন, শনিবার রাত আনুমানিক দশটার দিকে মসজিদের পশ্চিম দক্ষিণ কোণে ঘাসের উপর রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখে একজন চিৎকার দেন। এসময় মুসল্লীরা মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখতে পান এক যুবকের নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে মুসল্লীসহ আশপাশের লোকজন জড়ো হচ্ছে দেখে চিৎকার দেওয়া যুবক ঘটনাস্থলের পাশে ফেলে যাওয়া তার মোটর সাইকেল নিয়ে চম্পট দিতে চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষর্দশীরা জানান, মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করা যুবকের গতিবিধি উপস্থিত সকলের কাছে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে ধরে ফেলেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার সময় আটককৃত ওষুধ কোম্পানির এমআর আশিক বিল্লাহসহ ৩/৪জনের একটি চক্র হত্যাকান্ডে অংশ নেন। ঘটনার পর সবাই পালিয়ে গেলেও ফেলে যাওয়া মোটর সাইকেল নিতে এসে উল্টো চিৎকার চেচামেচি দিয়ে ঘাতক আশিক বিল্লাহ ধরা পড়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো আবদুল জব্বার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে সিআইডি পুলিশের ক্রাইম সিন টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মরদেহের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হেল্থ কেয়ার নামের ওষুধ কোম্পানির এক এমআরকে ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।##