চকরিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শোভন দত্তের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা, টেন্ডারে অনিয়ম, বকেয়া বিল পরিশোধ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রোববার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঠিকাদার কছির উদ্দীন কছির নিজ অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য কছির উদ্দীন কছির বলেন, ‘উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালে রোগীদের সরকারি নিয়ম মোতাবেক পথ্য বা খাদ্য-সামগ্রী সরবরাহে গত ২০২০-২১ ও ২০২১-২০২২ অর্থবছরে টেন্ডারে ঠিকাদার নিয়োজিত হয়ে নিয়মিত রোগী ও করোনা রোগীদের ঝুঁকি নিয়ে খাদ্য-সামগ্রী সরবরাহ করে আসছি। খাদ্য-সামগ্রী সরবরাহের প্রায় ২৫ লাখ টাকার বিল দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রেখেছে। এ বকেয়া বিল চাইতে গেলে বরাদ্দ আনার কথা বলে বেশ কয়েকবার মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেছেন চকরিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শোভন দত্ত। এরপরও বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় উচ্চ আদালতে বকেয়া আদয়ে জন্য অভিযোগ করলে আদালত ২০২২ সালে ১১ ডিসেম্বর রুল জারি করে এবং তিন মাসের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তি করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দশনা প্রদান করে।’
তিনি আরো জানান, এই কর্মকর্তা আদালতের নির্দশনা অমান্য করে হয়রানি উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবে বকেয়া বিল পরিশোধ না করে চলতি অর্থবছরের শেষে মে মাসে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য টেন্ডার আহ্বান করেন। এ সময় ১০ জন ঠিকাদার টেন্ডারে সিডিউল ক্রয় করলেও ১১ মে সিডিউল দাখিলের শেষ সময়ে নয়জন ঠিকাদারকে সুকৌশলে সিডিউল দাখিলে বাধা প্রদান করেন এবং তার মনোনীত ঠিকাদারকে টেন্ডার সিডিউল দাখিলের সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। ওই মনোনীত ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে টেন্ডারের শর্তাবলি ভঙ্গ করে ও নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে উপস্থিত ঠিকাদারের সামনে টেনডার বক্স না খুলে এবং কমিটির অন্য সদস্যদের পাশকাটিয়ে মনগড়াভাবে ঠিকাদার নির্বাচিত করেন। যা অন্য নয়জন ঠিকাদার লিখিতভাবে গত ১৬ মে কক্সবাজার সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে ডাক্তার শোভন দত্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান , আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। ইচ্ছা করলে এ চাকরি না করলেও চলতে পারি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে পারে। অহেতুক কিছু ব্যক্তি এসব করছেন।