ঘুমের জন্য ওষুধ না খেয়ে বই পড়তে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, পড়ার অভ্যাস সবার থাকা উচিত।
ছোটবেলা থেকে বাবা-মা যদি শিখায় সেটি ভালো হয়। অনেকে ঘুমের জন্য ওষুধ খায়, প্রয়োজন নেই। বই পড়লেই ঘুম চলে আসে। বেশি মজাদার বই পড়লে আবার ঘুম আসবে না। এ জন্য আবার বই বাছাই করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে ডিজিটাল ফরমেটে বই পড়ে। ভাষা সাহিত্য এগিয়ে নিতে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। প্রকাশনায় ডিজিটাল ও অডিও মাধ্যম সংযোজন করতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চললে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, অনুবাদকে সমৃদ্ধ করতে হবে। পড়ার অভ্যাস ছোটবেলা থেকে গড়ে তুলতে হবে। বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিতে হবে। অনেক আন্দোলনের সূতিকাগার হচ্ছে বাংলা একাডেমি। বইমেলা বড় জায়গায় কীভাবে আয়োজন করা যায়, তা ভাবার প্রয়োজন আছে।
স্কুল জীবন থেকে বই মেলায় আসতাম। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বইমেলায় এসে মজা নেই। নিরাপত্তার বেড়াজালে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এবার সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। তাই ভাষা সাহিত্যসহ সব কিছুকে স্মার্ট করতে হবে।
প্রকাশকদের শুধু কাগজের নয়, ডিজিটাল প্রকাশক হওয়ার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ডিজিটাল প্রকাশনার ওপর গুরুত্বও দেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, লাইব্রেরিগুলোয় অডিও ভার্সন থাকবে, অডিও ভার্সনের কিন্তু প্রয়োজন আছে। সেটাও থাকলে অনেকের সুবিধা, শুনবে জানতে পারবে, সে ব্যবস্থাটাও আমাদের নেওয়া উচিত। এটাই সব থেকে দরকার, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমরা এগিয়ে যাব।
এর আগে ২০২৩ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি। সাহিত্য বিষয়ে অবদানের জন্য ১১টি ক্যাটাগরিতে ১৬ জনকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়।
বিকেলে ৩টার দিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।