গ্যাস সংকটের কারণে ৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল)। কারখানাটি কখন চালু হতে পারে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্যাসের সংকট না কাটলে সহসাই এ কারখানা চালুর সম্ভাবনা নেই। এতে করে সার কারখানাটির দৈনিক প্রায় ৩ কোটি টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। জানা গেছে, গত বছরের ২২ নভেম্বর কারখানাটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এর পর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেখানে সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ত্রুটি সারানো গেলেও গ্যাস সংকটের কারণে কারখানাটি আর চালু করা হয়নি। যদিও গত ২২ মার্চ কারখানাটি একবার চালু হয়েছিল। তবে মাত্র ৬ দিন চালু থেকে পুনরায় ২৭ মার্চ কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, কারখানাটিতে সবকিছু ঠিকঠাক আছে।
শুধুমাত্র গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা পেট্রোবাংলাকে জানিয়েছি। তারা আমাদের বলেছেন- সারের জন্য মোট ১৩০ ঘনমিটার গ্যাস বরাদ্দ রয়েছে। এ পরিমাণ গ্যাস কর্ণফুলী, যমুনা ও শাহজালাল ফার্টিলাইজার কারখানায় দেওয়া হচ্ছে। সারের প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে রাষ্ট্র তো শুধু সার উৎপাদন করলে হবে। বিদ্যুৎ বা অন্যান্য খাতে গ্যাস দিতে হবে। তবে যখনই রাষ্ট্র গ্যাস সরবরাহ করবে তখনই আমরা উৎপাদনে ফিরতে পারব।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাস বিভিন্ন সার কারখানায় সরবরাহ করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে ১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করে সরকার। জাপানের কারিগরি সহায়তায় গড়ে ওঠা কারখানাটি দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন এবং বার্ষিক ৫ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম। একই সঙ্গে এটি দৈনিক ১ হাজার মেট্রিক টন এবং বার্ষিক ৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া উৎপাদনে সক্ষম।