বোয়ালখালী থানায় সাধারণ মানুষ ভালো ব্যবহার পাচ্ছেন না জানিয়ে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম বলেছেন, 'গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আছহাব উদ্দিন আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। যা থেকে অনুমেয় হয় যে সাধারণ মানুষ কেমন ব্যবহার পান।'
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মাসিক আইন শৃঙ্খলার সভায় তিনি এসব কথা জানান।
এসময় তিনি আরও বলেন, নাশকতাকারীর তালিকায় নাম রয়েছে দাবী করে পুলিশ বোয়ালখালীর বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করছেন। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। এর পাশাপাশি মাদকের বিস্তার, চুরিসহ নানা ধরনের অপরাধ বেড়ে গেছে। এতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে। থানায় গিয়ে মানুষ বিচার পাচ্ছেন না। নারীদের কল্যাণে সরকার থানায় নারী ডেস্ক চালু করলেও নারীরা কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। এতে সরকারের বদনাম হচ্ছে।
দুর্ব্যবহারের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আছহাব উদ্দিন বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে তার কোন ধরনের দুর্ব্যবহারের ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এই সভায় বক্তারা বলেন, ইভটিজিং রোধে স্কুলগুলোতে নজরদারী বাড়াতে হবে। উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা রোধে ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
পৌরসভার সর্বোচ্চ সেবা না দিলেও উপজেলা পরিষদ থেকে ৭ পারসেন্ট হারে সর্বোচ্চ কর আদায় করছেন। যা সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করলে পারা যায়। ময়লা আর্বজনা অপসারণ না করায় ড্রেনগুলো ভরে যাচ্ছে।
এছাড়াও ছিল পুলিশ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার ঘটনা। প্রেস স্টিকার ব্যবহার করে বিভিন্ন গাড়িতে মাদক পাচার করায় এসব পরিবহন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
অনুমোদনহীন হাসপাতাল বন্ধ ও কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয় সভায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম,ভাইস চেয়ারম্যান এসএম সেলিম,শামীমম আরা বেগম,সহকারী কমিশনার(ভুমি)নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী, বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম,পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর,বোয়ালখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম মোদাচ্ছের,ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন,এসএম জসিম,শামসুল আলম, কাজল দে, শফিউল আজম শেফু।