আজ বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

একদিনে পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা বাড়ে কীভাবে, প্রশ্ন বাণিজ্যসচিবের

ঢাকা অফিস : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৪:২২:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, ‘ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো আর দেশে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেলো! এটা ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ নয়।’

 

একদিনের ব্যবধানে দাম ৮০ টাকা বাড়ে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘যিনি একদিন আগে ১২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করলেন, পরদিন কীভাবে সেটার দাম ২০০ টাকা হয়ে গেলো? দাম বাড়তে তো সময় লাগার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা বাড়তি লাভের আশায় কোনো নৈতিকতা দেখালেন না।’

 

রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ভ্যাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘নিত্যপণ্যের সংকট তৈরি হলেই অনেক ব্যবসায়ী এর সুযোগ নিয়ে থাকেন। গতকাল হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে গেছে। এটা অবশ্যই দায়িত্বশীল আচরণ নয়। ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে দেশের জনগণের জন্যই ব্যবসা।’

 

তিনি বলেন, ‘লাভ ছাড়া তো ব্যবসা করবেন না। কিন্তু যে পণ্যের মূল্য ১২০ টাকা, এক রাতের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা কীভাবে হয়? ভারত রপ্তানি বন্ধ মাত্রই ঘোষণা দিয়েছে, সে কারণে পরদিনই দাম বাড়তে পাড়ে না।’

 

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমস ডিউটি কমানোর কথা বলি। এটার সঙ্গে জনগণের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক একটি বিষয় রয়েছে। শিল্পায়নের স্বার্থে কর অব্যাহতির কথাও বলি। বাণিজ্যে বিকাশ চাই। ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়াতে চাই।’

 

২০২৯ সালের পর শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকবে না, তখন ডিউটিশ্যূন্য করতে হবে। রাজস্ব লস হবে, ৪৩ পণ্যে ক্যাশ ইনসেনটিভ দিয়ে থাকি বলেও জানান সিনিয়র সচিব।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভ্যাটনীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

 

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা হয়রানি ছাড়া ব্যবসা করতে চান। হয়রানি বন্ধ করেন, ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স ও ভ্যাট দেবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অনেক এগিয়ে। হয়রানি না করলে ব্যবসায়ীরা এনবিআরের সঙ্গে সবসময় আছেন।’