মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও মুসলিম ধর্মের সর্বচ্চ ধর্মীয় জামায়াতে আরাফাত ময়দানে অনুষ্ঠিত হল পবিত্র হজ্ব। মসজিদে নামিরাতে আরাফার খুতবা মধ্যদিয় শেষ হল চলতি বছরের হজ্ব।
তারপর অনুষ্ঠিত হলো এক আজান ও দুই ইকামতে একসঙ্গে দুই রাকাত করে জোহর-আসরের জামাত। যথারীতি আজ সামনের সারিতেই উপস্থিত ছিলেন সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি, যিনি দীর্ঘদিন এই মিম্বারে খুতবা দিয়েছেন। তার পাশেই উপস্থিত ছিলেন শায়খ সুদাইস।
শায়খ মাহিরের খুতবা একদম তিনি হারামের খতিব হওয়ার প্রথম দিন থেকেই শুনে আসছি। অনুবাদ করেছি। তার খুব কম খুতবা আছে, যেটা শোনা হয়নি। এবার তাকে হজের খতিব বানানোতে অনেক খুশি হয়েছি।
তার খুতবায় আমার আলাদা মুগ্ধতা সহজবোধ্যতা এবং সিরাতভিত্তিক বক্তব্যের জন্য। আজকের খুতবাটিও ছিল যথারীতি সারগর্ভ এবং আরাফার খুতবা যেমনটি হয়ে থাকে তেমনি।
বিশেষ করে প্রথমত. তিনি যতটুক না বললেই নয়, বাদশা এবং প্রিন্সের কথা ততটুকুই বলেছেন। বক্তব্যে বা দোয়ায় কোনো বাহুল্য ছিল না। সবশেষ কয়েক বছর যা অন্যদের বিরক্ত করেছে।
দ্বিতীয়ত. তিনি খুতবায় ফিলিস্তিনের মজলুমদের জন্য শুধু নিজের দোয়াই করেননি বরং শ্রোতাদের উদ্দেশে সরাসরি অনুরোধ করেছেন তাদের বিশেষ দোয়ায় ফিলিস্তিনি মজলুমদের সবিশেষ স্মরণ করতে। তারপর তাদের জন্য খুব হৃদয়ঘনিষ্ঠ আবেগমথিত দোয়া করেছেন।
তৃতীয়ত. অতি সংক্ষেপে ও সরল ভাষায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পুরো হজের বিবরণ এবং হাজীদের করণীয় বিশ্লেষণ।