বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান বলেছেন, ২১ মানে মাথা নত না করা। একটি দেশকে ধ্বংস করার জন্য ওই দেশের কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, সাংবাদিকদের মেরে ফেলতে হবে।
তাই তারা আমাদের দেশের কবি সাহিত্যিকদের মেরে ফেলতে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পযর্ন্ত হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকের একুশের চেতনা এটাই হোক, ‘অস্ত্র ছাড়ি কলম ধরি, আলোকিত সমাজ গড়ি’। আজকে থেকে তিনটি ‘ম’কে না বলি এবং তা হলো মিথ্যা, মাদক, মুখস্থ।
এসময় তিনি কবিতারছলে বলেন, ‘জ্বলছে আলো চলছে দেশ, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার মূলনীতি, গ্রাম শহরের উন্নতি।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার ভূমি রাজিব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এস. এম শফিউল্লাহ্, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে. এম. সরোয়ার কামাল দুলু।
অনুষ্ঠান শেষে দিবসটি উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে শুদ্ধ বানান, হাতের সুন্দর লেখা, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্য পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এদিকে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি আয়োজন করেছে। ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে দিবসের মূল কর্মসূচি শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এছাড়া মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ ও আউটার স্টেডিয়ামসহ নগরের বিভিন্ন উন্মুক্ত ও জনবহুল স্থানে ভাষা আন্দোলন সংশ্লিষ্ট সংবাদ, আলোকচিত্র তথ্য ও ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।