আজ শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১

৬৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এস আলম সুগার মিলের আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৭ মার্চ ২০২৪ ০৩:১৯:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

দীর্ঘ ৬৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে চট্টগ্রামের এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের আগুন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ভোরে কারখানাটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

 

 

তিনি বলেন, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ১৮টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় এখনো হালকা আগুন দেখা যাচ্ছে। আজ বিকেলের মধ্যে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হবে।

 

 

 

ফায়ার ডিজি আরও বলেন, আগুন দেরিতে নিয়ন্ত্রণে আসার কারণ হলো- যে কাঁচামালগুলো ছিল সেগুলো দাহ্য। পানি দেওয়ার পরও আবার জ্বলে ওঠে।

 

তিনি বলেন, কারখানাটিতে এক লাখ মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল মজুত ছিল। আমরা তার ৮০ শতাংশ রক্ষা করতে পেরেছি।

 

অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া ঘটনা তদস্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

 

 

এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার আক্তার হাসান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। চিনির যে কাঁচামাল রক্ষা করা গেছে, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে তা ব্যবহার করা হবে।

 

 

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি নিয়ে আজ বিকেল থেকে মূল কারখানায় উৎপাদন শুরু করা হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এই অগ্নিদুর্যোগের কোনো প্রভাব যেন বাজারে না পরে।

 

এস আলমের এই কর্মকর্তা জানান, পুড়ে যাওয়া গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। বাকি গুদামে বর্তমানে ৬ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল রয়েছে।

 

 

এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার খবরে বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে স্থানীয় পাঁচটি ফায়ার স্টেশনের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও কোস্ট গার্ড।

 

 

এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মিলে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে দুটি প্ল্যান্টে পরিশোধন করা হয়। তার মধ্যে প্ল্যান্ট-১ এর দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৯০০ টন আর প্ল্যান্ট-২ এর দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি এবং কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হয়।

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়