আজ বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

২৪ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠালেন ১৭৯ কোটি ডলার

অর্থনীতি ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৬ মে ২০২৪ ০৭:১১:০০ অপরাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো প্রবাসীদের প্রতি ডলারের দাম ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে সরকারের দেওয়া দুই দশমিক ৫০ শতাংশ প্রণোদনা।

 

এ হিসাবে প্রবাসীরা এক ডলার পাঠালে দেশের তাদের স্বজনরা ১১৯ টাকা ৯২ পয়সা পাচ্ছেন।

রেমিট্যান্সের ডলারের এ সর্বোচ্চ দামের ফলে প্রবাসী আয় প্রবাহে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে।  চলতি মে মাসের ২৪ দিনে দেশে এসেছে ১৭৮ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। প্রতি ডলার ১১৭ টাকা হিসাবে।

 

রোববার (২৬ মে)  বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়ের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

 

তথ্যে দেখা যায়, চলতি মে মাসের ২৪ দিনে প্রবাসীদের পাঠানো আয় আগের এপ্রিল ও আগের বছরের মে মাসে পাঠানো প্রবাসী আয়ের চেয়ে বেশি। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রবাসীরা প্রতিদিন দেশে পাঠিয়েছিলেন পাঁচ কোটি ৬৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৭ মার্কিন ডলার। আর চলতি বছরের এপ্রিল অর্থাৎ আগের মাসে প্রবাসীরা প্রতিদিন দেশে পাঠিয়েছিলেন ছয় কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার মার্কিন ডলার।

 

প্রবাসী আয় ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তা জানান, সাধারণত ঈদের মাসে প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠান। ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে চলতি মাস শেষে ঈদের মাসের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় পাঠাবে বলে মনে হচ্ছে। ২৪ দিনে প্রবাসী আয় দেখে ইতোমধ্যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

 

ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন। আর এ কারণে ডলারে প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, এ মাসের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলারে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১১৭ টাকা। এর ফলে প্রবাসীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। এই দামের পাশাপাশি সরকারের আগের দেওয়া প্রণোদনাও অব্যাহত রয়েছে।

 

প্রবাসীদের পাঠানো ডলারের সঙ্গে এই প্রণোদনা আরও কিছুদিন চালু রাখার তাগিদ দিয়েছেন সাবেক এই গভর্নর।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মে মাসের ২৪ দিনে প্রবাসীরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পাঠিয়েছেন ১৯ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার ডলার; কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার; বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পাঠিয়েছেন ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ডলার।