চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার এস আলম সুগার মিলের আগুন ১৯ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিটের সঙ্গে কাজ করছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনী।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী ইছানগর বাংলা বাজার এলাকায় এস আলম সুগার মিলে এ আগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। সকাল ১১টা সরোজমিনে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, আগুনে পানি পরলে কার্বন ও অক্সিজেন তৈরি হয়, এতে আগুন ছড়ায় বেশি। তারপর আমরা আগুন বের হতে দেইনি গুদাম থেকে।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসক ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তারমধ্যে একটির প্রথম বৈঠকও মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়েছে। তাঁরা পরিদর্শনে আসবেন।
ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন টিম যারা রাত থেকে কাজ করেছে তারা ক্লান্ত হওয়ায় তাদের পরিবর্তন করে নতুন টিম দিয়ে কাজ শুরু করছি বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিটও কাজ করে যাচ্ছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কতক্ষণ লাগবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপরে টিন না সরানো পর্যন্ত কতক্ষণ সময় লাগবে তা এখনো সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। আমরা কতৃপক্ষকে বলেছি তারা যাতে উপরের টিন গুলো সরানোর ব্যবস্হা করেন। তারা আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। দ্রুত টিন সরানোর উদ্যােগ নিচ্ছে। উপরের টিন সরিয়ে নিলে আগুন নিয়ন্ত্রণের একটা সময় নির্ধারন করা যাবে।
তবে অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহত না হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ও আগুন লাগার কারন এখনো জানা যায়নি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
এদিকে আগুন লাগার ঘটনায় গতরাতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক ও ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা।
তবে এ ঘটনায় গোডাউনে থাকা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ১ লাখ মেট্টিক টন চিনির কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। পরিশোধনের পর রমজানে এ চিনি বাজারে ছাড়ার কথা ছিল।
অগ্নিকাণ্ডের ওই কারখানায় প্রায় ৫০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন বলে জানা গেছে। ঘটনার সময়ে কারখানাটি চালু থাকলেও আগুন লাগার পর কারখানাটি বন্ধ করা হয়।