আজ বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এবার রাজধানী ঢাকায় ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ঈদগাঁও'র কথিত লাল চৌধুরী

মোঃ মিজানুর রহামকন আজাদ ঈদগাঁও (কক্সবাজার) | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৪০:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

রাজধানী ঢাকায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইয়াবা কারবারি  কথিত লাল চৌধুরী। তার নাম দেলোয়ার হোসেন মিন্টু ওরফে লাল মিন্টু।

 

১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার  যাত্রাবাড়ী থানাধীন সায়েদাবাদস্থ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার ৬নং টোল প্লাজা, লেন এ-২২ এর উত্তর পার্শ্ব এলাকা থেকে আটক করে।আটককৃত মাদক কারবারি কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডস্থ নাপিতখালী মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের আবদু শুক্কুরের ছেলে এবং সে স্থানীয় নতুন অফিস বাজার কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি।ডিএমপি এর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়েরকৃত মামলার  এফআইআর সুত্রে জানা য়ায়,ধৃত মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন মিন্টু(৪৭) চট্টগ্রাম থেকে,ঢাকা গামী ইউনিক পরিবহন (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব-১২-২১৫৮) যোগে যাত্রাবাড়ী থানাধীন সায়েদাবাদস্থ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার ৬নং টোল প্লাজা, লেন এ-২২ এর উত্তর পার্শ্ব পর্যন্ত পৌঁছে।  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানকারী দল উক্ত যাত্রীবাহি গাড়িতে থাকা সন্দেহভাজন যাত্রীদের তল্লাশী করে। এক পর্যায়ে ধৃত ইয়াবা  কারবারি কাছ থেকে অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবেলট, যার ওজন ১ (এক) কেজি,( যা সংখ্যায় ১০ হাজার পিস) এবং ১ টি নোকিয়া নামীয় বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে সংশ্লিষ্ট ধারায় যাত্রাবাড়ী থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু হয়, যার মামলা নং  ৩৩/৯৪৫,১৩:নভেম্বর ২০২৪।

ধৃতের এলাকা সুত্রে জানা যায়, ধৃত দেলোয়ার হোসেন মিন্টুকে এলাকাবাসী  লাল মিন্টু হিসেবে জানে।দীর্ঘ সময় সে প্রবাসে ছিল, পরে দেশে আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে।এ সুযোগে মাদক কারবারি করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যায় এবং নাম পাল্টিয়ে নিজে মিন্টু চৌধুরী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।নিজের মাদক কারবারকে আড়াল করতে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কাজে ডোনেশন দিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করে। গড়ে তুলে তার চতুর্দিকে গুনগান গাওয়া কিছু গলাবাজ। একে পূজি করে মোটা অংকের টাকা ব্যয় করে স্থানীয় নতুন অফিস বাজার সমিতির সভাপতি পদ ভাগিয়ে নেয়।

আওয়ামী সরকারের পতন হলে মেয়াদোত্তীর্ণ এ কমিটিতে আবারো নেতৃত্বে আসার জন্য রাতারাতি খোলস পাল্টে বিএনপি -জামায়তের নেতাদের কাছাকাছি চলাফেরা শুরু করে এবং আওয়ামী বিরোধী বিভিন্ন পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে থাকে।

ইতিপূর্বেও সে মরণনেশা ইয়াবা নিয়ে কয়েকবার আটক হয়েছিল।পরে জামিনে এসে বীর দর্পে আওয়ামী রাজনীতিতে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে। তার ফের আটকের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজনদের স্বস্তি প্রকাশ করতে শুনা গেছে। 

ধৃত মাদক কারবারির এলাকার ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, মিন্টু আগেও ইয়াবা নিয়ে আটক হয়েছিল, এখন আবারও হয়েছে।