ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নে হালদা নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাশেদ। রাশেদের নেতৃত্বে কয়েকটি সিন্ডিকেট নদীর পাড় কেটে চড়া দামে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ইট তৈরীতে বালু মিশ্রিত এসব মাটির বিশেষ চাহিদা থাকায় এগুলো যাচ্ছে পাশ্ববর্তী ইটভাটায়। জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে নদীর পাড় কেটে মাটি গুলো পার্শ্ববর্তী ইট ভাটায় সরবরাহ করছে রাসেদের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের পূর্ব ফটিকছড়ির কবরস্থান সংলগ্ন এলাকা, যুগিনীঘাট ব্রীজের দক্ষিণ অংশ হতে হালদা নদীর পাড় কেটে ট্রলিতে করে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে শ্রমিকদের পালিয়ে যেতে দেখা যায়। এদিকে, নদীর দুই পাড়ের কাটা অংশ এতই গভীর ও প্রশস্থ যে, মনে হবে যেন বিরান ভুমিতে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা। দিনের পর দিন হালদার পাড় কাটা অব্যাহত থাকায় হুমকির মূখে পড়েছে শতকোটি টাকা ব্যায়ে নদীর দুই পাড়ে স্থাপিত বেড়িবাঁধ রক্ষার সিসি ব্লক। এ বিষয়ে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন যুবলীগ নেতা রাশেদের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে হালদার পাড় কেটে বিক্রি করে আসছে। রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মূখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা বলে দাবী করছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাশেদের মন্তব্য জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম কামরুল ইসলাম বলেন, কোন অবস্থাতেই হালদার পাড় কাটা যাবেনা। যারা এ অন্যায় কাজে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।