আজ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১
সরকারি জায়গায় লেক খনন

হালদা ভ্যালীর পরিচালক নাদের খানের বিরুদ্ধে মামলা, সহকারীকে কারাদণ্ড

সালাহউদ্দিন জিকু | প্রকাশের সময় : সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ০৭:০৪:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

ফটিকছড়িতে সরকারি ভূমি দখল করে বেআইনি ও অবৈধভাবে লেক খনন করায় চট্টগ্রাম ক্লাবের সভাপতি ও হালদা ভ্যালী চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাদের খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৯ জানুয়ারি(রবিবার) রাতে ৯টায় নারায়ণহাট ভূমি অফিসের সহকারি কর্মকর্তা আবু বক্কর বাদি হয়ে ভূজপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এর আগে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রাহমান সানি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে একই অপরাধের দায়ে হালদা ভ্যালী চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মহসীন হোসেন (৩০) কে ১ বছরের বিনাশ্রম, ভেকো মেশিনের চালক গৌতম দাশ(৪৮) কে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি হালদা ভ্যালি চা বাগান এলাকায় সরকারি রাস্তার উপর গেট নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। সেটিও উন্মুক্ত করে সার্বক্ষণিক গেট খোলা রাখার নির্দেশনা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানি। জানা যায়, ২০১৭ সালে রামগড়–সীতাকুণ্ড সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে দখলের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হালদা ভ্যালির তৎকালিন ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী ব্যবস্থাপক রাজিব আহম্মদ জেল কাটেন। বন বিভাগের জমি জবর দখল ও মাটি কাটার জন্য নারায়ণহাট রেঞ্জের বন কর্মকর্তা অন্তত ২১টি মামলা করেছিল ওই চা বাগানের বিরুদ্ধে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে বনে অনুপ্রবেশে ২০১৭ সালে স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত। তবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করেই বনের পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে হালদা ভ্যালি টি এস্টেট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ভূজপুর থানায় ওসি মুহম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী মামলার বিষয়ে বলেন, হালদা ভ্যালী চা বাগানের ভেতর অবৈধভাবে মাটি খনন করে সরকারি জমির ক্ষতিসাধন করায় চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাদের খানের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এটি তদন্ত করে দেখবো। ইউএনও সাব্বির রহমান সানি সাংবাদিকদের বলেন, আনন্দপুর (হালদা ভ্যালি) চা বাগানের অভ্যন্তরে বাদুড়খিল নামক স্থানে টিলার পাদদেশে অবৈধভাবে লেক খনন করায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ৪ (চ) লংঘন করার অপরাধে হালদা ভ্যালী চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মহসিন হোসেনকে (৩০) এক বছর ও এক্সক্যাভেটর চালক গৌতম দাশকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।