আজ শনিবার ১৮ মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
শুক্রবারে আকদ, শনিবারের শ্বশুর বাড়ি, সোমবারে জানাজা

হাতের মেহেদী রং শুকানের আগেই বেপরোয়া লরি কেড়ে নিল বাইকারের প্রাণ!

মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৭:৪০:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

শুক্রবারে আকদ হয়েছে,শনিবারের শ্বশুর বাড়ি: মাত্র ৩৬ ঘন্টার ব্যবধানে রবিবারে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর কেড়ে নিল প্রাণ।সোমবারে জানাজা শেষে কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে।গত শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে আকদ্ হয় হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের নজুমিয়ারহাট রায়হান নওশাদের। শনিবার গেলেন শ্বশুর বাড়ি এবং রবিবার চাকরির ডিউটি শেষে ফেরার পথে লরির ধাক্কায় প্রাণ হারান বাইকার রায়হান।

 

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টার দিকে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রায়হান নওশাদ।  নিহত রায়হান পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র।

 

জানা যায়, উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের নজুমিয়ারহাট এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে রায়হান। দুই বোন ও দুভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। গত বছর দুয়েক আগে মারা যান তার বড় বোন এবং তাদের ছোটকালে হারান বাবাকে।

 

সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জানাজার নামাজ শেষে দাফন করার সময় অসংখ্য মানুষ জমায়েত হয়ে আছেন। সবার মুখে একটি কথা এটা কেমন মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আকদ। পরের দিন শনিবার হাইচ গাড়িতে করে গেলেন শ্বশুর বাড়ি আর রবিবার নগরের কাঠগড়ের এসএপিএল কনটেইনার ডিপোতে একটি বিদেশি বায়িং হাউসের কোয়ালিটি এসিউরেন্স ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে থাকা রায়হান ডিউটি শেষে সহকর্মী মবিনুলকে সঙ্গে নিয়ে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে গতকাল রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার ডিসি পার্কের সামনে বেপরোয়া গতির লরি ধাক্কা মেরে ছিটকে ফেলে মোটরসাইকেল চালানো রায়হানকে। মুহূর্তেই লাশ হয়ে যান তিনি। এ সময় রক্তাক্ত হন বাইকের পেছনে থাকা রায়হানের সহকর্মী মবিনুল ইসলাম (২৮) এমনটা জানান নিহতের ছোট ভাই নাইম উদ্দিন তানভীর ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আকতার হোসেন। 

 

 

প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার ডিসি পার্কের সামনে ঘটে ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনা। বেপরোয়া লরি ধাক্কা মেরে ছিটকে ফেলে মোটরসাইকেল চালানো রায়হানকে। মুহূর্তেই লাশ হয়ে যান তিনি। এ সময় রক্তাক্ত হন বাইকের পেছনে থাকা রায়হানের সহকর্মী মবিনুল ইসলাম (২৮)।

 

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আশেক জানান, সড়কে লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে রায়হানের হেলমেট উড়ে যায়। মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আহত মবিনুলের বুকের হাড় ও হাতের আঙুল ভেঙে গেছে। নাকেও জখম হয়েছে। হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর চিকিৎসা চলছে৷