চেক প্রতারণা সহ নানান ২১মামলার সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ।গতকাল দিবাগত রাতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো:মনিরুজ্জামানের নির্দেশনায় এসআই রহমত উল্লাহ'র সঙ্গীয় ফোর্সের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলার চন্দঘোনা থানাধীন বাঙ্গালহালিয়া এলাকার দূর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে এ দম্পতিকে আটক করে। অপরদিকে আরো তিন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন হাটহাজারী উপজেলার উত্তর ফতেয়াবাদ নন্দীরহাট এলাকার বাদল পালিতের পুত্র উত্তম পালিত ও তার স্ত্রী পান্না পালিত সহ বুড়িশ্বর ইউনিয়নের কোম্পানী বাড়ীর মৃত হাজী আলী আহমদ কোম্পানির পুত্র ওয়াহেদ মুজিব।
থানা সুত্রে জানা যায়, আটককৃত স্বামী স্ত্রীদ্বয় গত ২০১০সালে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভূয়া ব্যাংক চেকের মাধ্যমে প্রতারণা করে প্রায় ৩কোটি টাকা নেয়।পরে এ টাকা পরিশোধ না করে উত্তম পালিত ও তার স্ত্রী পান্না পালিত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।পরে ভুক্তভোগীরা প্রতারণা সহ নানা অভিযোগে মামলা রুজু করেলে প্রায় ২১টি মামলার দন্ডপ্রাপ্ত হয় প্রতারক এ দম্পতি।একযুগ পার হওয়ার পরেই আলোচিত সাজাপ্রাপ্ত এ আসামীদের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাটহাজারী মডেল থানার একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার গহীন জঙ্গল এলাকা থেকে দন্ডপ্রাপ্ত এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেন।তার স্ত্রীও ২টি সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামী।আটককৃত দম্পতি হল বন্যার পানির ড্রেনে পড়ে নিহত হওয়া হাটহাজারী কলেজের ডিগ্রি ২বর্ষের ছাত্রী নিপা পালিতের মা বাবা।২সন্তানকে বাড়ীতে রেখে একযুগ আগে প্রতারণা সহ নানান অভিযোগে আত্মগোপনে চলে গিয়েছে বলেও জানা যায়।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন,চেক প্রতারণা সহ ২১মামলার দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক দম্পতিকে এক যুগ পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।প্রায় তিনকোটি টাকা আত্মসাৎ করে তার আত্মগোপনে চলে যায়।পুলিশের বিশেষ অভিযানে এ দম্পতি সহ তিন আসাসীকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
