হাটহাজারীতে চাঞ্চল্যকর মোহাম্মদ উল্লাহ (৩২) হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মোঃ আরমান(২৮)কে গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ।বৃহস্পতিবার(১০নভেম্বর) পুলিশের অভিযানে প্রযুক্তি ব্যবহার মাধ্যমে ৩নং মির্জাপুর ইউপিস্থ সরকারহাট বাজার এলাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১৫মিনিটের দিকে হত্যাকান্ডে জড়িত আরমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত আরমান মির্জাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চারিয়া ওয়াহেদ আলী তালুকদার বাড়ীর মৃত ফোরকানের পুত্র।নিহত মোহাম্মদ উল্লাহ ও একই এলাকার মৃত শফির পুত্র।নিহতের বড় ভাই জাহেদুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা রুজু করেন,যার নং ১২।আটককৃতকে বিজ্ঞ আদালতে শুক্রবার দুপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালত থেকে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো.ফয়সাল। প্রসঙ্গত: গত ৭নভেম্বর রাত নয়টায় নিজ বসতঘর থেকে ডেকে নিয়েছে আটককৃত আরমান।এর পর থেকে নিহত মোহাম্মদ উল্লাহ ঘরে ফেরেনি।তার স্ত্রী ও স্বজনরা বিভিন্ন এলাকায় খুঁজতে থাকে।নিখোঁজের দিন থেকে আটককৃত আরমান নিহতের স্ত্রীকে একাধিকবার ফোনে মোহাম্মদ উল্লাহর সন্ধান দেয়। তার পরেও খুঁজে পায়নি।পরে থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশও তার খুঁজ নিতে থাকে। নিখোঁজের ২দিন পর বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম নাজিরহাট সড়কের ইজতেমা মাঠ সংলগ্ন চারিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনের পশ্চিম বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে মরদেহ পড়ে থাকে।পরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শাহাদাৎ হোসেন ও মডেল থানা পুলিশের ওসি রুহুল আমিন সবুজ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।এর পর থেকে পুলিশ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে জড়িত আরমানকে সরকারহাট বাজারে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। হাটহাটজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ মাঠে নেমেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে জড়িতকে সনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে আটক করে।আরো কারা জড়িত আছে এ হত্যাকান্ডে পুলিশ গুরুত্বসহকারে মামলাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শতভাগ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।