আজ বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ই বৈশাখ ১৪৩১

হাটহাজারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রবাসী নিহত,আটক ১

হাটহাজারী প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : শনিবার ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০৬:১৭:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

হাটহাজারীতে পানি সেচ নিয়ে বিরোধ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে বাদশা(৪০)নামের এক প্রবাসী নিহত হয়েছে।শনিবার(৪ফেব্রুয়ারী)সকাল ১০টায় উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নে জব্বার আলী চৌ:আলমের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।গুরুতর আহত হলে মুমূর্ষ অবস্থায় স্থানীয় গনি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন।সে গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আলমের বাড়ীর মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র।তার সংসারে ১মেয়ে ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে।গত দুই মাস আগে প্রবাস থেকে বাড়ি আসেন।জড়িত মাহাবুবকে জনগন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সরেজমিনে গিয়ে পরিবার ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়,নিহত বাদশা পরিবার নিয়ে গত দুইদিন আগে বেড়াতে গিয়েছে শশুর বাড়ীতে।এ সুযোগে বাদশার ব্যবহৃত নিজস্ব পুকুরে পানির মেশিন বসিয়ে কৃষি জমিতে পানি সেচ করে নিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু পুকুরের মালিক বাদশাকে বলেনি।শনিবার সকালে বাড়ীতে আসলে পুকুরের পানি সেচ নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মাহাবুব (প্রকাশ লেঙ্গা) মাহাবুবের কাছে বাদশা জানতে চাইলে পুকুরের পানি সেচ করে করছেন।এ নিয়ে বাড়ি সংলগ্ন জব্বার আলি চৌধুরী জামে মসজিদের সামনে অকথ্য ভাষায় গালাগালের এক পর্যায়ে বাদশাহকে মারধর করে গুরুতর আহত করে মাহবুব। খবর শুনে উপস্থিত লোকজন ও বাড়ির লোকেরা আহতবস্থায় বাদশাহকে ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। অভিযুক্ত মাহবুব আবারো সেখানে গিয়ে দরজা খোলার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করে। ইট দিয়ে দরজায় আঘাত করতে থাকে। পরে সবার অনুরোধে মাহবুব চলে গেলে বাদশাহকে উনার শ্যালক মো. আলমগীরসহ বাড়ির অন্য সদস্যরা সরকারহাট একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শ্যালক আলমগীর বলেন, নিহতের স্ত্রী পিত্রালয়ে ছিলেন। ঘটনা শুনেই তাকে নিয়ে দ্রুত ছুটে আসেন। এসেই হাসপাতালে নিয়ে যান। নিহতের বুক, হাত পাসহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। এদিকে ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন মডেল থানার পুলিশ। নিহতের স্ত্রী জানান,আমার স্বামীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।আমার স্বামী হত্যায় জড়িত মাহাবুবের ফাঁসি চাই। জানতে চাইলে অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন সবুজ বলেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের কেউ এখনো থানায় আসেনি। আসলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।