হাটহাজারীতে রিম্পা রানী শীল(২২) নামে এক সন্তানের জননীর মরদেহ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ।সোমবার(১৫জানুয়ারী)বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ধলই ইউনিয়নের শীলপাড়া স্বামীর ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।এসময় থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত রিম্পা ধলই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শীলপাড়া এলাকার সুমন কান্তি শীলের স্ত্রী ও ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নের তটন শীলের কন্যা।
থানা ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত ৩বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় সুমনের সাথে রিম্পার।দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি এ দম্পতির।তাদের সংসারে ২বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বোরবার রাতে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্ত্রী রিম্পা শীলকে সুমন শীল মারধর করে।অভিমান করে সোমবার দুপুরের দিকে হঠাৎ তাদের ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেছানো অবস্থায় ঝুলন্ত দেখতে পায় রিম্পাকে।পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আসার আগেই ঝুলন্ত লাশটি তারা নিচে নামিয়ে ফেলে। নিহতের বাবা দাবি করছেন তার মেয়েকে নির্যাতন করে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে এনে পরে লাশ মর্গে পাঠিয়ে দেন।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলে ধারনা করা হচ্ছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ফেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।