হাটহাজারী দুগ্ধ ও গবাদিপশুর উন্নয়ন খামারের গাছ বাগান থেকে আকাশমনি ও বেলজিয়াম জাতের অর্ধশতাধিক গাছ কেটে পাচার করেছে একটি চক্র মহল। গত চার পাঁচদিন আগে এসব গাছ কেটে খামারের প্রধান ফটক দিয়ে চাঁদের গাড়ি (জীপ)করে পাচার হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। অথচ গাছ কাটার বিষয়টি প্রতিবেদকের কাছে প্রথম শুনেছেন বলে দাবি করেন উপপরিচালক মলয় কান্তি মোদক।গত ২০১৭সালেও একই ভাবে অভিনব কৌশলে সরকারী দুগ্ধ খামার থেকে প্রায় ১০০গাছ কেটে পাচার করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।সংবাদ প্রকাশের জের ১৩জন কর্মচারীও বদলি হয়েছে।কিন্তু কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আবারো খামারের প্রায় অর্ধশত আকাশমনি ও বেলজিয়াম গাছ কেটে পাচার করেছে খামারে কর্মরত কিছু কর্মচারী সহ জড়িত হয়ে বলে জানা যায়।তবে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন খামারে দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক মলয় কান্তি মোদক। প্রায় ৮২একরের জায়গায় অবস্থিত দুগ্ধ ও গবাদি পশু খামারের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিনব কৌশলে এ গাছগুলো কেটে পাচার করেছে।গাছ কাটার বিষয় কোন টেন্ডার তো দূরের কথা বিষয়টি খামারের কেউ জানেনও না এমনি দাবি করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।তবে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে খামারের গাছ কেটে পাচার করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে খামারের পশ্চিমাংশে গাছ বাগানে মাটি ও জঙল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে কাটা গাছের গোড়ার অংশ। শনিবার প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে উপ-পরিচালক কাজ আছে বাহানা দিয়ে একটি সিএনজিযোগে পালিয়ে যায়। রোববার এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম। সিকিউরিটি কোথায় প্রশ্ন করলে উত্তেজনা হয়ে বলেন, এটা আমার এরিয়া নয় এটা কেন্দ্রীয় কৃত্রিমপ্রজনন ল্যাব কাম বুল স্টেশনের। খামারের ফটক দিয়ে গাছ পাচার হয়নি বলেও জানান তিনি। জানতে কেন্দ্রীয় কৃত্রিমপ্রজনন ল্যাব কাম বুল স্টেশনের উপপরিচালক মোস্তফা কামালের কাছে জানতে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এদিকে খামারের দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিল্কম্যান বলেন, সর্বমোট ৮২ একর জায়গা নিয়ে দুগ্ধ ও গবাদিপশুর উন্নয়ন খামার। এখানের সব জিনিসের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। বর্তমানে ল্যাব নির্মিত হলেও তাদের সীমানা প্রাচীর রয়েছে। কাটা গাছের বাগানটি খামারের। রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে লুটপাটে জড়িয়ে যায় তখনি সরকারীরের এ সম্পত্তির কি অবস্থা হবে এমনি দাবি করেন স্থানীয় জনসাধারন।