আজ শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

হাটহাজারী চারিয়া ইজতিমা মাঠ পরিদর্শনে ব্যারিস্টার আনিস এমপি

হাটহাজারী প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৬ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৫৩:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

 

হাটহাজারী চারিয়ায় তাবলীগ জামাআতের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ৫ দিন ব্যাপী জোড় ইজতিমা ময়দান পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম-৫ আসনের সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি। শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ইজতিমা মাঠে প্রবেশ করলে তাঁকে স্বাগত জানান তাবলীগ জামাতের চট্টগ্রাম বিভাগীয় আমীর ও দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন। এ সময় আরো ছিলেন হাটহাজরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলম, হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রুহুল আমিন, পিএস মঞ্জুর আলম, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান এডভোকেট আলহাজ্ব শামীম, মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূরুল আবছার প্রমুখ। ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রথমে তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীদের কামরায় আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীনের সাথে জোড় ইজতিমার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন ও খোঁজ-খবর নেন। এসময় ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, তাবলীগ জামাআতের ইজতিমায় আমি সবসময় যেটা দেখে আসছি সেটা হচ্ছে, সঠিক উপায়ে ইবাদত-বন্দেগীর পাশাপাশি আমাদের জীবন-যাপন যাতে সুষ্ঠুভাবে ও শৃঙ্খলার সাথে পরিচালনা করতে পারি সেটার একটা দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। এখানে সঠিকভাবে দৈনন্দিন জীবন-যাপন নিয়ে কথা বলা হয়। তিনি আরো বলেন, এসব ধর্মীয় সমাবেশ নিয়ে উগ্রতা ও চরমপন্থার যে একটা ভুল ধারণা প্রচার করা হয়, এটা মোটেও সঠিক নয়। এখানে যেটা বলা হয় সেটা হচ্ছে- সঠিক নিয়মে ইবাদত-বন্দেগীর কথা বলা হয়। মানুষের মধ্যে যাতে সহাবস্থান, সহনশীলতা, সততা বিরাজ করে এবং শান্তি ও ইনসাফের সাথে যাতে মানুষ জীবন যাপন করতে পারে, সে বিষয়ে এখানে কথা বলা হয়। আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙামাটি ও কক্সবাজারের আশপাশের আলেম-ওলামা ও তাবলীগের তিন চিল্লা সম্পন্নকারী সাথীরা চারিয়া জোড় ইজিতিমায় অংশগ্রহণ করেছেন। পাঁচ দিনের এই জোড় ইজতেমায় ঢাকার টঙ্গী ময়দানের বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি উপলক্ষে সাথীদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা ও জরুরি উপদেশ দেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ব ইজতিমাকে সামনে রেখে এই জোড় ইজতিমা থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রায় পাঁচশতাধিক ৪০ দিনের চিল্লায় জামাত বের হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মতবিনিময় শেষে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমূদ ইজতিমা ময়দানে আছরের নামায আদায় করেন। নামায শেষে তিনি জোড় ইজতিমায় আগত তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বীদের পৃথক পৃথক কামরায় গিয়ে তাঁদের সাথে কথা বলেন ও খোঁজ-খবর নেন এবং নিজের জন্য দোয়া চান।পরে ইজতেমা মাঠ ঘুরে দেখেন। সোমবার সকালে ৮টায় আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের বিভাগীয় জোড় ইজতেমা সমাপ্ত হবে।