আজ রবিবার ১২ মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে লোহাগাড়ায় নিসচা’র স্মারকলিপি

জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১০ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৩২:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিধিমালা চূড়ান্ত ও অনুমোদন করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই লোহাগাড়া শাখা। সোমবার (১০ অক্টোবর) সকালে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ উল্লাহর হাতে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই লোহাগাড়া উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এম. ইব্রাহিম কবির ও সভাপতি মোজাহিদ হোছাইন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নিরাপদ সড় চাই লোহাগাড়া শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক সাত্তার সিকদার, হোছাইন মুহাম্মদ শারফু সিকদার, দপ্তর সম্পাদক মো: আবু ছিদ্দিক, প্রকাশনা সম্পাদক জমির উদ্দীন, কার্যকরি পরিষদ সদস্য মো: ঈসা সোহাগ মিয়া, মো হেলাল উদ্দীন, নাজিম উদ্দীন নেয়াজ, নাছির উদ্দীন বাচ্চু ও ফাহাদ ইবনে হাশেম। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, নিসচা’র দীর্ঘদিনের পথপরিক্রমায় সড়ক দুর্ঘটনারোধে যে বিষয়গুলো নিয়ে দাবি জানিয়ে আসছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দেশ নতুন সড়ক আইন তৈরি ও বাস্তবায়ন করা। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আপনার উদ্যোগে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণীত হলে জনগণের মধ্যে স্বস্থি ফিরে আসে, কিন্তু এই আইনটি আপনার নির্দেশনা থাকা সত্বেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। যার ফলে মূলত আইনটি অকার্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং প্রশাাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ েেউই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছেনা। এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম ৫টি পিলার যথাক্রমে ১. সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, ২. ঝুঁকিমুক্ত যানবাহন, ৩. সচেতন সড়ক ব্যবহারকারী, ৪. সড়ক দুর্ঘটনায় পরবর্তী করণীয়, ৫. গাড়ি চালনার উপযুক্ত পরিবেশ বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া যাচ্ছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এদেশের উন্নয়নে যথেষ্ট সোচ্চার এবং আপনার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর ফলে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। আপনি উদ্যোগ গ্রহণ করলে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এ উপরোক্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে বিধিমালা প্রণয়ন ও অনুমোদন করলে এবং সে অনুযায়ী প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহল কাজ করলে সড়ক দুর্ঘটনা নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে, যার ফলে ঝউএ-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।