নগরের রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজে গতিশীলতা আনতে চসিকের বহরে যুক্ত হলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির গাড়ি। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সিআরবির সাত রাস্তার মোড়ে নতুন মেনটেইন্যান্স ট্রাক দিয়ে রাস্তা সংস্কারকাজের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, সড়ক সংস্কারে আধুনিক প্রযুক্তির রোড মেনটেইন্যান্স ট্রাক ব্যবহারের ফলে সময় ও অর্থ দুটিই সাশ্রয় হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ট্রাকগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাংলাদেশে চসিকই প্রথম রোড মেনটেইন্যান্স ট্রাকগুলো সংগ্রহ করেছে। রাস্তায় গর্ত বা ফাটল দেখা দিলে এ ট্রাকের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক মেরামতের ফলে আরও বড় গর্ত বা ফাটল থেকে রাস্তাকে রক্ষা করা যাবে। বর্ষা মৌসুমেও রাস্তা মেরামতে কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না।
মেয়র বলেন, এ ট্রাকগুলো ব্যবহারের ফলে আলাদা অ্যাসফল্ট প্লান্টের প্রয়োজন হবে না। তাৎক্ষণিক মিকশ্চার তৈরি করা যাবে। তাই বৃষ্টি বা দুর্যোগের কারণে মেরামতকাজ স্থগিত হলে মিকশ্চার নষ্ট হবে না, যেখানে অ্যাসফল্ট প্লান্টে তৈরি করা মিকশ্চার নষ্ট হয়ে যায়। রোড মেনটেইন্যান্স ট্রাকগুলোতে উন্নতমানের ইমালশন ব্যবহারের ফলে কাজের গুণগতমান বজায় থাকবে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।
তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অপারেটর, চালক ও মেকানিকদের রোড মেনটেইন্যান্স ট্রাকগুলোর যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্ষা মৌসুমেও রোড মেনটেইন্যান্স কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে চসিক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, মির্জা ফজলুল কাদের, জয়সেন বড়ুয়া, তৌহিদুল আলম, পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক প্রণব শর্মা, সিবিএর সভাপতি ফরিদ আহমদ, সহ-সভাপতি জাহেদুল আলম চৌধুরী।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ জলজট থেকে পরিত্রাণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ওপর জোর দিচ্ছে। নগরে ৫৭টি খাল ও ৬৫০ কিলোমিটার নালা পরিষ্কার করবে চসিক। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ৫৯৮টি নালার তালিকা নিয়ে মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা খাল ও বড় নালার তালিকা চেয়ে সিডিএকে চিঠি দিচ্ছে চসিক। এ তালিকা পাওয়ার পর কাজের দ্বৈততা দূর হবে।
তিনি জানান, খাল ও নালাগুলোতে যেখানে মাটি জমে আছে সেই মাটিগুলো অপসারণ করে পানি চলাচলে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনা হবে।
মেয়র মাটি উত্তোলন কাজ পরিচালনার জন্য ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেন। আগামী বর্ষার আগপর্যন্ত নগরের নালা-নর্দমার মাটি উত্তোলনের কাজ চলমান থাকবে।