সেন্টমার্টিনের উপর পর্যটন নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
তিনি বলেন, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, লবন, মাছ, পান, চিংড়ি থেকে শুরু করে সবকিছুই পর্যটনবান্ধক। এসবকে যথাযথ কাজে লাগাতে হবে আমাদের। সেজন্য সোনাদিয়া, মাতারবাড়ি, কুতুবদিয়াকে বেছে নিতে পারি।
কক্সবাজারে চলমান ৭ দিনের পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভালের তৃতীয় দিন শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মহেশখালী আদিনাথ জেটিঘাটে আলোচনা সভায় আশেক উল্লাহ রফিক এসব কথা বলেন।
এ সময় মহেশখালীর ম্যানগ্রোভ ফরেস্টকে কক্সবাজারবাসীর জন্য বিশাল সম্পদ বলে আখ্যা দেন এমপি আশেক।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. নাসিম আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীকি মার্মা ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, কক্সবাজার লাবনী পয়েন্টে চলমান ৭ দিনের পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভালে বাড়তি আকর্ষণ দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী পর্যটন সংগঠন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর নৌ-র্যালি।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে স্পীডযোগে বাঁকখালীর শান্ত নদে যাত্রা করে র্যালিটি।
আকর্ষণীয় নৌ-র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা লাল সবুজের জাতীয় পতাকা আর টুয়াকের লোগো সম্বলিত সাংগঠনিক পাতাকা উঁচিয়ে এগিয়ে যায় মহেশখালীর নৌ-পথে।
ব্যতিক্রমী এই র্যালিতে নৌ-পথের স্পেশাল বাহনসহ যুক্ত হন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. নাসিম আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (সদর সার্কেল)সহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্তাগণ।
সঙ্গে টুয়াকের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এমএ হাসিব বাদল, কার্যকরী কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মফিজুর রহমান মুফিজ, সদ্যগত কমিটির সভাপতি আনোয়ার কামাল ও সিনিয়র সহসভাপতি হোসাইন ইসলাম বাহাদুর, নবনির্বাচিত কমিটির সিনিয়র সভাপতি এমএম সাদেক লাবু, সহসভাপতি একেএম মুনিবুর রহমান টিটু (সদ্যগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক), নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির পাশা পল্লবসহ টুয়াকের সদস্যবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
নৌ-র্যালির আকর্ষণ:
পশ্চিমে সবুজ কেওড়া বন; পূর্বে জলবায়ু উদ্ভাস্তুদের আশ্রয়স্থল, ঠিক মাঝখানে বয়ে চলেছে খরস্রোতা বাঁকখালী। সেই নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বীচ কার্নিভাল ও পর্যটনমেলা উপলক্ষে নৌ-র্যালি। বাঁকখালীর আলতু ঢেউয়ের তালে নেচে নেচে র্যালিটি থামলো আদিনাথ জেটিঘাটে। সেখানে পৌঁছতেই উৎসুক জনতা আর পর্যটকেরা হাতনেড়ে শুভেচ্ছা জানায় র্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের। মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরণ করে নেওয়া হয় অতিথিবৃন্দকে।
এরপর পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভাল উপলক্ষে জেটিঘাটে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে নৌ-র্যালি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যার সুশৃঙ্খল পরিসমাপ্তি ঘটে বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে। সবার নান্দনিক উপস্থিতি পর্যটন মেলায় বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে।