আজ রবিবার ৫ মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১

সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক , সীতাকুণ্ড | প্রকাশের সময় : শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ ০১:৪০:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় একটি তুলার গুদামে আগুন লেগেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা এলাকায় নেমসন কনটেইনার ডিপোর বাইরে একটি তুলার গুদামে এ আগুন লাগে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে আগুন জ্বলছিল। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেন। কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে তাঁদের চারটি দল আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কী কারণে আগুন লেগেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।

 

সুলতান মাহমুদ আরও বলেন, যে গুদামে আগুন লেগেছে, সেটি নেমসন কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করছে। যে তুলা পুড়ছে, সেগুলো ইউনিটেক্স লিমিটেডের আমদানি করা তুলা। বান্ডিল আকারে সেখানে রাখা ছিল। খবর পাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাঁরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু আশপাশে পানির উৎস নেই বলে আগুন নেভাতে দেরি হচ্ছে। তিনি বলেন, তুলার আগুন সহজে নেভে না। সে জন্য পুরোপুরি নির্বাপণে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

সরেজমিন ওই ডিপোর সামনে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করছেন। উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মো. সালাউদ্দিন বলেন, হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান গুদামের পশ্চিম পাশে আগুন জ্বলছে। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা খাল থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।

কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, সিপি কারখানাটি বন্ধ হওয়ার পর সেটিকে স্থানীয় জাহাজভাঙা কারখানা এসএল স্টিলের মালিক লোকমান হোসেন গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছেন। গুদাম হিসেবে ব্যবহারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্য কোনো কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের নেই। এসএল স্টিলের একজন কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা গুদামটি মেনসন কনটেইনার ডিপোর কাছে ভাড়া দিয়েছেন। ফলে গুদামের সার্বিক বিষয়ে এখন আর তাঁরা দেখাশোনা করেন না।

এর আগে গত বছরের ৪ জুন রাতে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিকের কনটেইনারে আগুনের পর বিস্ফোরণে ৫০ জন নিহত ও ২ শতাধিক আহত হয়েছিলেন। ৪ মার্চ বিকেলে একই এলাকার সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হন। এ ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।