চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের কালোয়ার পাড়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দ্বগ্ধ একই পরিবারের তিন জনের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিলেন দেশ সেরা রপ্তানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান সাদ গ্রুপ অব ইন্ডস্ট্রিজ লিমিটেড ও ইসমাঈল আঞ্জুমান আরা ওয়েলফেয়ার ট্রস্ট।
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দ্বগ্ধ হয়ে আহতরা হলেন- লোহাগাড়ার সদর ইউনিয়ন কালোয়ার পাড়া এলাকার আব্দুল মন্নানের স্ত্রী রিজওয়ারা বেগম (৫৫) মেয়ে কহিনুর আক্তার (৩৬) ও নাতনী আলিশা (৭)।
গত ১০ মার্চ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দ্বগ্ধ হয়ে ৪ জন গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে দগ্ধ খোরশেদ আলম গত ১৩ মার্চ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গুরুতর আহত তিনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে রিজওয়ারা বেগম আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে। হতদরিদ্র এই পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব নয় মর্মে খবর পেয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তিনজনের সাথে কথা বলে চিকিৎসার খোঁজখবর নেন দেশসেরা রপ্তানীকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান সাদ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর ডিএমডি ও ইসমাঈল আঞ্জুমান আরা ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট, নুরুল ইসলাম হাসপাতাল লিমিটেড এর চেয়ারম্যান শিল্পোদ্যোক্তা নূরে ইয়াসমিন ফাতিমা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে শখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাদ গ্রুপের দুই জন জিএমকে চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে পাঠিয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং তার একমাত্র ছেলে আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাদ’র পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ টাকার অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন।
দেশ সেরা রপ্তানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান সাদ গ্রুপ অব ইন্ডস্ট্রিজ লিমিটেড এর ডিএমডি, ইসমাঈল আঞ্জুমান আরা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও নুুরুল ইসলাম হাসপাতাল লিমিটেড এর চেয়ারম্যান শিল্পোদ্যোক্তা নূরে ইয়াসমিন ফাতিমা জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে লোহাগাড়ার কালোয়ার পাড়া গ্রামের তিনজন সিলিন্ডার বিস্ফোরনে দ্বগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। মা-মেয়ে-নাতনীর অবস্থা খুবই আশঙ্খাজনক। বিষয়টি শোনার সাথে সাথে তাদের তাদের পরিবারের বড় ছেলে সোহেলের সাথে কথা বলে আমি আবেগ আপ্লুত হয়েছি।
তাৎক্ষনিক, ইসমাঈল আঞ্জুমান আরা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দেড় লক্ষ হাজার টাকা এবং আমার ছেলে সাদ গ্রুপ অব ইন্ডস্ট্রিজ লিমিটেড এর এমডি আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাদ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ টাকা চিকিৎসা বাবদ অনুদানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আহতদের দেখভাল করার জন্য সাদ গ্রুপের দুদজন জিএম হাসপাতালে গেছে। তারা সেখানে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি আরো জানান, তাদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। তাদের চিকিৎসার জন্য মোট ১৫ লাখ টাকা লাগবে বলে চিকিৎসক জানিয়েছে, সেটি আহতরা আমাকে জানিয়েছে। অথচ তারাই খুব অসহায়। তিনি আরো জানান, অনেক লোকজন নিজেদের প্রয়োজনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারে, অথচ মানবতার কল্যাণে সকল শ্রেণি পেশার মানুষসহ সকলের এগিয়ে আসা দরকার। আমি অনুরোধ করব, বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীরা, এলাকার দানশীল ব্যক্তিরা, ব্যবসায়ীরা যদি এগিয়ে আসে তাহলে একটি অসহায় পরিবারের তিনটি প্রাণ ফিরে পাবে।