আজ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১
দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সাতকানিয়ায় দিন দুপুরে পুকুর থেকে মাছ লুঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতকানিয়া : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ ১০:৩২:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

সাতকানিয়ায় পুর্ব বিরোধের জের ধরে দিন দুপুরে পুকুর থেকে জোরপূর্বক ভাড়াটে লোক নিয়ে মাছ লুঠের গুরুতর ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাটি গত শনিবার দুপুর আড়াইটার সময় উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কালামিয়ার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।উক্ত মাছ লুঠের ঘটনায় চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।লুঠ হওয়া পুকুরের মালিকের পক্ষ থেকে আদালতে দায়ের করা মামলাসুত্রে জানাযায়,শনিবার আনুমানিক দুপুর

২.৩০ ঘটিকার সময় উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কালামিয়ার পাড়ার আহমদ হোসেনের সহধর্মীনি নুর জাহান (৪৬) মামলায় মাছ লুঠের মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার আবুল কাশেমের স্ত্রী পারভীন আকতার (৪০),কাইয়ুম মিয়ার ছেলে গোলাম রসুল (৪৫),মৃত কবির আহমদের ছেলে মোঃ মহিউদ্দীন (৩৫),বাশখালী উপজেলার সাতঘর পাড়ার মৃত আজিজ আহমদের ছেলে মোঃ আজাদ উল্লাহ (৩০)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জন। মামলার বাদীনি নুর জাহান জানান,তাহার স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ।তাহার বসত ঘরের দক্ষিণে দখলীয় ১৬ শতক জায়গার উপর মৌরশী পুকুর খনন করে দীর্ঘ ২০ (বিশ) বছর যাবত মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন এবং সকলের জ্ঞাতসারে ভোগ দখলে রত আছে।গত শনিবার উক্ত আসামীগণের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক দেশীয় অস্ত্র—শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীনির দখলীয় পুকুর পাড়ের ঘেরাবেড়া ভাংচুর করে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে জোর পূর্বক মাছ চাষের পুকুরের মাছ শিকার করার জন্য মাছ ধরার বড় জাল দিয়ে প্রায় ২/৩ ঘন্টা যাবৎ  অনুমানিক ২ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পুকুর থেকে ধরে নিয়ে যায়। আসামীগণের এরূপ জোর জবরদস্তি মূলক কর্মকান্ডে বাদীনি ও তাহার অসুস্থ স্বামী এবং তাহার পুত্রবধু বাঁধা দিতে গেলে উল্লেখিত আসামীগণ বাদীনিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাদীনির পরিহিত কাপড়— চোপড় ধরে টানা হেচড়া করে শ্রীলতাহানি করে এবং মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। বাদীনির অসুস্থ স্বামীকে লাঠি দিয়া মারধর করে জখম করে এবং বাদীনির পুত্রবধু সুমাইয়াকে  আসামীরা তাহার পরনের কাপড়—চোপড় টানা হেচড়া করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শকাতর অংশে হাত দিয়া শ্লীলতাহানি করে। ২নং আসামী গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে।এরপর আসামীগণ বাদীনি, তাহার অসুস্থ স্বামী ও তাহার পুত্রবধু—কে পুকুরের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত একটি সেমিপাকা ঘরে আটক রেখে অবরুদ্ধ করে বাদীনির পুকুরের সমস্ত মাছ ধরে নিয়ে যায়। আসামীগণ মাছ ধরে চলে যাওয়ার সময়ে বাদীনিকে হুমকি প্রদান করেন যে, যদি এই বিষয়ে বাদীনি কোনরূপ বাড়াবাড়ি এবং তাহার পরিবার মামলা মোকদ্দমার করিলে বাদীনি ও সদস্যদেরকে জানে হত্যা করে লাশ গুম করিবে।পরবর্তী বাদীনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ঘটনার বিষয়ে অবগত করিলে তিনি পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে বলিলেও কোনরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গোলাম রসুল জানান,আমি কারো মাছ লুঠ করি নাই।বিগত ৫ বছর যাবৎ পুকুরটি আমি তাদের নিকট হতে লিজ নিয়েছি।বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য সবাই জানে।মামলার বাদী ও ২ নং আসামীদের ঘরোয়া বিরোধের জের ধরে আমি অভিযুক্ত হলাম।ওই পুকুর  ভোগ দখল করার সময় আমার আরো এক মাস বাকী আছে।পুকুরে আমি মাছ চাষ করেছি এবং আমি ধরেছি। যোগাযোগ করা হলে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সদস্য আলহাজ্ব মহি উদ্দীন জানান,ঘটনার দিন বিকালবেলা নুর জাহান নামের এক মহিলা ফোন করে জানান যে,তাহার পুকুরের মাছ লুঠ করে নিয়ে গেছে।পরে ঘটনাটি তদন্ত করে জানতে পারি কারো মাছ কেউ লুঠ করেনি।উল্লেখিত পুকুরটি বিগত ৫ বছর আগে এলাকার গোলাম রসুল নামের এক ব্যাক্তির নিকট পুকুরের মালিকপক্ষ নির্দিষ্ট টাকা নিয়ে লিজ দিয়েছিল।ওই ব্যাক্তিই তাহার চাষ করা মাছ জাল দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে।অভিযোগকারী নুর জাহান এর সাথে জায়গা জমি নিয়ে তাহার ভাসুরের সাথে বিরোধের বিষয়কে মাছ ধরার ঘটনা সামনে নিয়ে আসলেন।তারপরও বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করার কথা বলছিলাম।কিন্তু নুর জাহান কথা শুনেননি। চট্টগ্রাম আদালতের কৌশলি খালেদ হাসান মিছবাহ মাছ লুঠ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে গত সোমবার একটি মামলা দায়ের এর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন,নুর জাহান নামক এক মহিলা বাদী হয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত চট্টগ্রামে একটি মামলা করেছেন।যার নং ১৬০/২০২৪।