আজ রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ই পৌষ ১৪৩১

সরকারি সীমানার ভেতর দু’শ বছরের পুরানো সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

বোয়ালখালী প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৫৬:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে দু’শ বছরের পুরানো সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার(১৮এপ্রিল)বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের ভেতর দীঘির পাড় থেকে এসব গাছ কাটা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীরের ভেতর দিন দুপুরে সরকারি গাছ কাটা হলেও বোয়ালখালীর ভারপ্রাপ্ত ইউএনও তাহমিনা আকতার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলা পরিষদের ভেতর সেগুন, শীল কড়ইসহ নানা প্রজাতির দামি গাছগুলো প্রায় দু’শ বছরের পুরানো। দীঘির পাড়ে গাছগুলো সৌন্দর্য্য বর্ধনের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষ করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে গত দু’দিন ধরে এসব গাছ কেটে নেয়া হচ্ছে। সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে আইনি জটিলতা থাকলেও এখানে আইনকে বুদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দিন দুপুরে প্রশাসনের সামনে সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কোন টেন্ডার বা অনুমোদনের প্রয়োজনীতাও মনে করছে না কেউ। এ ব্যাপারে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও সহকারী কমিশনার(ভূমি)কে অবগত করলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের বোয়ালখালীর চেয়ারম্যান এসএম মিজানুর রহমান কোন ধরনের নিয়ম না মেনে, কাউকে না জানিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার সেগুন,শীল কড়ইসহ নানা প্রজাতির সরকারি গাছ উপজেলা সদরের ইউনুচ নামের এক গাছ ব্যবসায়ির কাছে বিক্রি করে দেন। কোন ধরনের আবেদন,মিটিং বা রেজুলেশ করেনি তিনি। পল্লী উন্নয়ন র্বোডের কোষাগারেও কোন ধরনের টাকা জমা করেনি । কয়েক লক্ষ্য টাকার দামি গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দেন। এর আগেও পরিষদ চত্বরের শতবর্ষি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বোয়ালখালীর সহ-সভাপতি মো. নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, গাছগুলো পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের হলেও এগুলো সরকারি। গাছগুলো কেউ কাটতে চাইলে আবেদন করে ইউএনও, জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হবে। গাছ কাটার বিষয়ে কোন মিটিং বা রেজুলেশও হয়নি। কোন অনুমোদন ছাড়া এসব গাছ কাটা হচ্ছে। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার দাবী জানান তিনি। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম জেলা কর্মকর্তা মো. মামুনুল হক বলেন, কোন অবস্থাতে এভাবে গাছ কাটার নিয়ম নেই। বোর্ড মিটিংয়ে কমিটি সিদ্ধান্ত নিলে ইউএনও,জেলা প্রশাসক ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় গুরুত্ব বিবেচনা করে অনুমোদন দিলে তারপর গাছ কাটা যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বোয়ালখালীর চেয়ারম্যান এসএম মিজানুর রহমান প্রতিবেদককে এ ব্যাপারে ঝামেলা করতে নিষেধ করেন। বোয়ালখালী উপজেলার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, তাদের কাছে গাছ কাটার বিষয়ে কোন আবেদন আসেনি,কোন মিটিং হয়নি,রেজুলেশনও পাশ হয়নি। কিন্তু কিভাবে সরকারি গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে জানেন না। তারা ইউএনও এবং জেলা অফিসকে গাছ কাটার বিষয়টি অবগত করেছেন। বোয়ালখালী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও সহকারি কমিশনার (ভূমি) তামিনা আকতার বলেন, তিনি এ বিষয়ে শুনেছেন তবে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি।