নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময়সীমার ১১ দিন পর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কক্সবাজার-৩ আসনে (সদর-রামু-ঈদগাঁও) স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ।
হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্রটি গ্রহণ করেন কক্সবাজার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের আদেশের একটি কপিটি হাতে পেয়েছি। তারপর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করি। আগামি ১৫ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। তবে, এই সম্পর্কে আর বিস্তারিত জানান নি জেলা প্রশাসক।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে বিকেল ৪ টা অর্থাৎ অফিস সময়ের পরে আসার অভিযোগে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের নাগরিক ও সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্রটি রিটার্নিং অফিসার গ্রহণ করেননি।
রিটার্নিং অফিসারের এ আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চে রীট পিটিশন দায়ের করলে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্রটি গ্রহণের জন্য কেন আদেশ দেওয়া হবেনা, তৎমর্মে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারের নিকট রুল জারী করেন। রুলের শুনানী শেষে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্রটি গ্রহণ করার জন্য হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার রিটার্নিং অফিসার মুহম্মদ শাহীন ইমরান ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্রটি গ্রহণ করেন।
বাছাইতে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্রটি বৈধ হলে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে প্রার্থী হবে মোট ৬ জন। এরমধ্যে, ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ হবেন একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বাকী ৫ জনই দলীয় প্রার্থী। তাঁরা হলেন, আওয়ামী লীগের সাইমুম সরওয়ার কমল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবদুল আউয়াল মামুন, বাংলাদেশ ন্যাশালিস্ট ফ্রন্টের মোহাম্মদ ইব্রাহীম, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেক ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির শামীম আহসান। আগেই এ আসনে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তিনি হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ কক্সবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।