চকরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ফাইতংয়ে রাতের আঁধারে এক কৃষকের আবাদকৃত ৮০শতক জমির সবজি ক্ষেত গুড়িয়ে দিয়ে তান্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে কৃষকের প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কৃষক স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ভোর রাতে লামা ফাইতং ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লামা ফাইতং ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকার মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে মাশুক আহমদ গং তার ক্রয়কৃত ও ভোগদখলীয় ৮০ শতক জমিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি মৌসুমেও সবজি ক্ষেতের আবাদ করেন। সবেমাত্র ক্ষেতের চারা গাছ গুলো বড় হচ্ছে। এখনো ফলন দেয়া শুরু করেনি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ভোর রাতে দুর্বৃত্তরা ক্ষেতের ৮০ শতক জমিতে বপন করা মরিচ, টমেটো, বেগুন, আলুসহ নানা ধরণের সবজি ক্ষেতের চারা মাটির সাথে গুড়িয়ে দিয়ে তান্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে জমি চাষ, সার-বীজ ও মজুরীসহ কৃষকের প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবী করেন ভুক্তভোগী কৃষক ও তার পরিবার। ভুক্তভোগী কৃষক মাশুক আহমদের ছেলে ছাদেকুল ইসলাম জানান, তার বাবা মাশুক আহমদ ও শামসুল আলম মিলে বিগত ১৯৯৪ সালে রেজিষ্ট্রি বায়নামূলে ২ একর ৮০ শতক জমি ক্রয় করেন। যার দলিল নং-৬১৫/৯৪। ক্রয়কৃত ওই জমি গুলো মূলত চকরিয়ার লক্ষ্যারচর মন্ডল পাড়া এলাকার মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে তারা ক্রয় করেছিল। জমি ক্রয়ের পর থেকে অদ্যবদি ওই জমিতে ভোগদখলে থেকে সবজিসহ নানা ধরণের আবাদ করে আসছেন আমার বাবা। হঠাৎ করে মঙ্গলবার ভোর রাতে আবাদকৃত ৮০ জমির সম্পূর্ণ সবজি ক্ষেতের চারা নষ্ট করে মাটিতে গুড়িয়ে দেয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার ক্ষেতের ফসলের সাথে এ কেমন শত্রুতা? এ ঘটনার বিষয়ে ফাইতং পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক জানান, সবজি ক্ষেতের ফসল নষ্ট হওয়ার ঘটনা জানতে পেরে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তবে এই কাজটি যে করুক না কেন তা ভাল করেনি। এ ঘটনায় যারা জড়িত থাকুক তাদের সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (পুলিশ পরিদর্শক) শামীম শেখ বলেন, সবজি ক্ষেত নষ্ট করে দেওয়ার ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।##