আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সন্দ্বীপে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১০:৩১:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

জাতীয় নির্বাচন শেষে সন্দ্বীপে রাজনৈতিক মাঠ ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে এবং মামলা হামলা নানা ঘটনা ঘটছে। সারিকাইত ইউনিয়ন কাজী পারা তেমাতায় একটি মারামারি ঘটনায় সন্দ্বীপ থানায় মামলা হয়েছে গত শুক্রবার। মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, " ৮তারিখ সোমবার রাতে বেআইনী জনতায় দেশীয় অস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে হত্যার নিমিত্তে মারধর করে সাধারণ, গুরুতর, জখম, চুরি এবং হুমকি প্রদান করা হয়েছে। "

মামলার ১৪ নং আসামি রহিম উল্ল্যাহ গতকাল সন্ধ্যা নিজ বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেকে নির্দেশ দাবি করেন এবং এ ঘটনার স্থে সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন। 

তিনি আর ও  বলেন, ঘটনার দিন দুপুর দুইটায় আমি চট্টগ্রাম যায়। আমি চট্টগ্রাম সন্দ্বীপ বোডিং এ ছিলাম। কিন্তু আমি মামলার আসামি। এই ধরনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।

মামলায় মোট ১৪জনকে আসামি করা হয়েছে। তার মধ্যে তিন নাম্বার আসামি মামুনুর রসিদ। যিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব রেজিস্ট্রার।

মামুনুর রসিদ অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম চট্টগ্রামে। আমি ৭তারিখ নির্বাচনে ভোট দেই। ৮তারিখ দুপুরে আমি চট্টগ্রাম চলে যায়।  এখন শুনতে পেলাম আমি মামলার আসামি। এই ধরনের প্রতিহিংসার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সুষ্ঠু তদন্তের জন্যে আমি প্রশাসনের যথাযথ  দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সারিকাইত ৪ং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইসমাইল মামলার ৪নাম্বার আসামি। ঘটনার সময় তিনি ফুল গাজী মার্কেটে  ছিলেন বলে অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য। তিনি বলেন,  আমি ঘটনার সময় কাজী পারায় ছিলাম না। কিন্তু আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। আমি একজন জনপ্রতিনিধি।  আমাকে হেনেস্থা করার লক্ষ্যে এই মামলা। আমি সুষ্ঠু তদন্তের জন্যে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

 

মামলার ৫নং আসামি রিয়াদ ঘটনার সময় ছিলো নিজের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ফুল গাজী মার্কেটে। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে কাজী পারায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি ঘটনার সময় আমার দোকানে ছিলাম। আপনারা আশেপাশের ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞেস করেন। আমাকে হয়রানি করার জন্যে এই মামলা দিয়েছে।  আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসনকে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

 

মামলার ১৩নং আসামি মেহেরাব ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে জানান তিনি। তিনি জানান, আমি ঘটনার সময় ছিলাম ফুল গাজী মার্কেটে। কিন্তু আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র মূলক মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

 

জানা যায়, মামলার সকল আসামি নৌকার সমর্থক ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে দাবি এই আসামিদের। সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তারা।