আজ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সন্দ্বীপে টমেটোর বাম্পার ফলন বাজারদরে খুশি চাষিরা

ইলিয়াছ সুমন, সন্দ্বীপ : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ ০৫:৫২:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

সন্দ্বীপে এবার  বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ভরে গেছে টমেটো ক্ষেতে। এদিকে অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় ভালো ফলনের পাশাপাশি আশানুরূপ দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। উপজেলার মগধরা, হারামিয়া, কাছিয়াপাড়, বাউরিয়া, গাছুয়া, সন্তোষপুর, দীর্ঘাপাড়, উড়িরচর    এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা এবার অন্যান্য ফসলের চেয়ে টমেটো চাষে ঝুঁকেছেন বেশি। টমেটোর উত্পাদন খরচ কম হয়ায় বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে তারা লাগিয়েছেন হাইব্রিড মিন্টো জাতের টমেটো। অনুকূল আবহাওয়া ও নিয়মিত পরিচর্যায় ক্ষেতগুলোতে এবার ছত্রাকের আক্রমণ ঘটেনি। গাছগুলো হয়েছে সুস্থ, সবল ও সতেজ।  ক্ষেতের সে সবুজ গাছে গাছে ঝুলে আছে অসংখ্য কাঁচা-পাকা টমেটো।

 

উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের টমেটো চাষি রবিউল আলম (৬৫)  বলেন আমি ৪০ শতাংশ  জমিতে এবার টমাটো চাষ করছি আশানুরূপ ফলনও পাচ্ছি। এ বছর আশাকরি আমি দেড় লক্ষ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবো। 

একই এলাকার কৃষক জাবেদ( ৩০)  জানান আমি ২০০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশানুরূপ ফলন পাবো। 

 

 এলাকার টমেটো চাষিরা জানান, এবারে ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আশা করছি প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ  দেখা না দিলে ফলন হবে বিঘাপ্রতি প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মণ। বিঘাপ্রতি উত্পাদন খরচ ১০-১৫ হাজার টাকা এ  মৌসুম শেষে বিঘা প্রতি তাদের ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে জানান তারা।

সন্দ্বীপ উপজেলা  কৃষি অফিস  সূত্রে জানা গেছে, চলতি  অর্থবছরে উপজেলায়  ২৩০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ করা হয়েছে। তাতে  উৎপাদন হবে  

৭-৯০০০ মে. টন সম্ভাবনা আছে। 

 

সন্দ্বীপের  সবচেয়ে বড় টমেটোর বাজার নতুন বাজার আকবর হাটে  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি মণ ‘বিপুল প্লাস’ জাতের টমেটো ২ হাজার  থেকে ২ হাজার ৫শ  টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ‘রানী’ জাতের টমেটো ১৮শ টাকা  থেকে ২২শ  ও ‘পভলিন সিট’ জাতের টমেটো ১৫শ  থেকে ২ হাজার  টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।

সন্দ্বীপ উপজেলা কৃষি অফিসার মারুফ হোসেন বলেন এ বছর টমেটো চাষ যখন ই শুরু হচ্ছে তখন ই অক্টোবর শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে বীজ একবার নষ্ট হচ্ছিল, আমরা পরবর্তী আবার কৃষকদের দ্রুত বীজ দিয়ে উৎপাদন শুরু করি, ঘূর্ণিঝড় কে মোকাবিলা করে ও আমাদের ফলন আশানুরূপ ভালো হয়েছে। তাছাড়া কৃষকদের চাষাবাদ কেমন করছে তা মাঠ পর্যায়ে তদারকি করছেন আমি সহ আমাদের সহকারী কর্মকর্তারা ।  ধারণা করছি আমাদের লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।