আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সন্দ্বীপে কমিউনিটি ক্লিনিকে উঠার কাঁচা সড়কে মাটি সরে গেছে রোগীদের ভোগান্তি

ইলিয়াছ সুমন, সন্দ্বীপ : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:১৬:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ  উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের তিতালী পাড়া  গ্রামে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত  সিরাজুল ইসলাম  কমিউনিটি ক্লিনিক, সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে  এসব ক্লিনিক করা হয়।  কিন্তু ক্লিনিকে যাওয়ার রাস্তা টি ক্লিনিকের দক্ষিণ দিক থেকে কাঁচা ও ক্লিনিকে উঠার পুকুর পাড় থেকে নিচের দিকে কালবার্টের মাটি সড়ে গিয়ে অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।  দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও সড়ক নির্মাণে নেওয়া হয়নি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ। ফলে সেবা নিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৪ সালে উপজেলার মুছাপুর  ইউনিয়নের  ইউনিয়নের তিতালী পাড়া  গ্রামে এ  কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। যার জমিদাতা সিরাজুল ইসলাম,  সে সময় রাস্তার ধারে জায়গা না পেয়ে মাঠের মধ্যে আবাদি জমিতে ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। 

আর ও জানা যায়  এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ২৭ প্রকারের  ওষুধ পাওয়া যায়। তবে সংযোগ সড়কের অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে সেবা নিতে আসে রোগীদের।   এ ছাড়া বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়ে যায়। বর্ষা কালে ক্লিনিকে যাওয়া একদম অচল হয়ে পড়ে। ক্লিনিক থেকে পশ্চিমে তিতালী পাড়া সড়কের সামান্য অংশ উপজেলা পরিষদের থেকে পাকা করণ হলে ও বিশাল অংশ কাঁচা রয়ে গেছে, ক্লিনিকের অন্য  পাশের আবদুল মোতালেব মেম্বার সড়ক টি দীর্ঘদিন কাঁচা থাকায় ও জনভোগান্তি চরমে উঠেছে। শুধু ক্লিনিক নয় ক্লিনিকের পাশে রযেছে মুছাপুর ওবাইদিয়া মাদ্রাসা সেখানে ও শিক্ষার ছাত্র ছাত্রী অভিভাবক চলাচল করতে রাস্তা কাঁচা থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

 

 

ক্লিনিকে  চিকিৎসা নিতে আসা তিতালী পাড়া গ্রামের  বাসিন্দা এসহাক (৬৫) বলেন, এ ক্লিনিক গড়ে উঠার পর জনগণের ভার উপকার হচ্ছে, তবে বর্ষা মৌসুমে ক্লিনিক যাওয়া কষ্টকর। 

জাহানারা( ৪৫), বলেন  ক্লিনিকে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। জমির মধ্য দিয়ে ক্লিনিকে আসা-যাওয়া রোগীদের জন্য খুব কষ্টকর।

 

সিরাজুল মাওলা কমিনিউটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রাপ্রাইডর মাকছুদুর রহমান বলেন আমি শুরু থেকে এ ক্লিনিকে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। রাস্তা সমস্যা থাকায় আমি মোটরসাইকেল শান্তির হাটে রেখে পায়ে হেটে ক্লিনিকে আসতে হচ্ছে। এ তিতালী পাড়া সড়কের বাকি অংশ ও আবদুল মোতালেব মেম্বার সড়কটি পাকাকরণ হলে ক্লিনিকের রোগীদের যেমন উপকার হবে আশপাশের গ্রামের ও উপকার হবে। 

 

এ বিষয়ে ১১ নং মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম বলেন তিতালী পাড়া সড়ক শান্তির হাট থেকে পশ্চিম দিকে ষাট লক্ষ টাকার কাজ হয়ে চলতি মৌসুমে পাকাকরণ করা হয়েছে, বাকি অংশ টুকু আমি মাননীয় সাংসদের মাধ্যমে ও পাকাকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।