দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীরা লবিং-তদবিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় এবং দলের প্রভাবশালী নেতাদের বাসা ও অফিসে ধরনা দিচ্ছেন তারা। এছাড়াও দলীয় প্রধানের কাছে জীবনবৃত্তান্ত পৌঁছানোরও চেষ্টা করছেন সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীরা।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতে দলীয় মনোনয়ন দেবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ৪৮টি আসনের বিপরীতে ১৫৪৯ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন কিনেছেন। তৎ মধ্যে চট্রগ্রাম বিভাগ থেকে ৭৪ জন এবং কক্সবাজার জেলা থেকে ২৫ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। প্রত্যেকের আবেদনপত্রের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে প্রার্থী বাছাই করবে দলটি।
বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট ও প্রার্থীর পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের প্রতি নিবেদিত ও ত্যাগী, সাবেক ছাত্রলীগের নেতা, মানুষের কাছে জনপ্রিয়, বিভিন্ন পেশায় থেকে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তারাও এগিয়ে থাকবেন। তবে বিতর্কিত কেউ সংরক্ষিত নারী আসনে বিবেচিত হবে না।
দলটির মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন, আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী; অভিনেত্রী, হিজড়া ও বিভিন্ন পেশার নারী। এছাড়া সমাজে বিশেষ অবদান রাখা নারীনেত্রী এবং প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের সহধর্মিণী ও সন্তানরা সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
কক্সবাজার জেলা থেকে একাধিক নারী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন৷ তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছেন কক্সবাজার জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিমা আকতার রোমানাকে নিয়ে। তিনি উচ্চ শিক্ষিত ও বয়সে তরুণী। পেশায় তিনি একজন কলেজের শিক্ষক।
তসলিমা আকতার রোমানা সমাজবিজ্ঞান থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করে কক্সবাজার সিটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে তিনি উখিয়া কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
পাশাপাশি রোমানা কক্সবাজার আইন কলেজ থেকে এলএলবি সম্পন্ন করে শিক্ষা নবীর আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন।
তসলিমা আকতার রোমানা উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকের হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছে দীর্ঘদিন। এছাড়াও তিনি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল নেতা ছিলেন।
পরে সারা বাংলাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম অজপাড়া গাঁয়ের জন্মগ্রহণ করা কোন মেয়ে হয়ে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়ে সারা বাংলাদেশে সাড়া জাগিয়ে প্রথম ইতিহাস গড়ে ছিলেন তসলিমা আকতার রোমানা।
ছাত্রলীগ থেকে সাবেক হওয়ার পর কিছু দিন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সর্বশেষ তিনি ঝাঁক জমক পরিবেশে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি এখনও দায়িত্ব পালন করছে যাচ্ছেন সততার সহিত।
উল্লেখ্য, তসলিমা আকতার রোমানা ছাত্র অবস্থা থেকে সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখে সবসময় অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এছাড়াও দলের পক্ষে ও দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি একাধিক জামায়াত ও বিএনপি'র হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন।
জেলার সর্বস্তরের মানুষের ধারণা এবারের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য আসনে সংরক্ষিত আসনে চমক দেখাতে পারেন অজপাড়া গাঁয়ের মেয়ে জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক তাছলিমা আক্তার রুমানা।
দলের হাইকমান্ড উচ্চ শিক্ষিত দলের এই ত্যাগী কর্মীকে মূল্যায়ন করবেন। দলের জন্য নিবেদিত কর্মী ও রাজপথের লড়াকু সৈনিক এবং বঙ্গবন্ধু'র একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে সারাজীবন তিনি সংগ্রাম করে গেছেন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে। সবসময় প্রতিটি মিছিল মিটিং তার সরব উপস্থিতি ছিলো লক্ষনীয়। নিজের কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে রাজনৈতিক মাঠে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে রোমানা।
দশম,একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীকে বিজয় করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আলোচনায় আসে তসলিমা আকতার রোমানা।
রাজপথের পাশাপাশি অনলাইনেও নিয়মিত দল ও সরকারের উন্নয়নের প্রচারণা করে তিনি আলোচনায় ঝড় তুলেছে। ইতি মধ্যে নিজ যোগ্যতা ও আর্দশে তিনি সর্বমহলে তার অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন।
দলের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, এইবার সংরক্ষিত নারী আসন সহ সবজায়গা সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের অগ্রধিকার দেওয়া হবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের জন্য যারা নিবেদিত প্রাণ যারা রাজপথের কর্মী তাদের মধ্য থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী নির্ধারণ করবেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।