রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সঙ্গে সংবিধানের ৫ম তফসিলে থাকা ভাষণের ১০৯টির মতো বৈসাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটি।
‘৭ই মার্চের ভাষণ নিশ্চিতকরণ কমিটি' ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর এ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২০২০ সালের ১০ মার্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ভাষণটি সংবিধানে অসম্পূর্ণ ও ভূলভাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ে কমিটি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল আলিম মিয়া জুয়েল ও সুবীর নন্দী দাস।
রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সংবিধানে ভুলভাবে অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে রিট করেন রাজবাড়ীর বাসিন্দা কাশেদ আলী।
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের দাবি, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের হুবহু সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। অনেকগুলো ভুলভাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ২০২০ সালের ০৬ অক্টোবর বাংলাদেশ টেলিভিশনের তখনকার মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদকে সভাপতি ও প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করে দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।
কমিটির সদস্যরা হলেন- বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান (প্রয়াত), ইতিহাসবিদ-লেখক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন, বাংলাদেশ বেতারের সাবেক উপ মহাপরিচালক আশফাকুর রহমান খান, বাংলাদেশ বেতারের তখনকার মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া।