আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ষাটের নিচে সবজি নেই, ঊর্ধ্বমুখী ডিম-পেঁয়াজ

সাঙ্গু ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১১ অক্টোবর ২০২৩ ০৪:১২:০০ অপরাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে আবার বেড়েছে সবজি, ডিম ও পেঁয়াজের দাম। বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি ‘নেই’।

 

মুরগিরও দাম কোনোদিন কমে, আবার বাড়ে। অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বর ও কালশী বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

মূলত বন্যাকে অজুহাত বানিয়ে সবজির দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। আকারভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা; লম্বা বেগুন ১২০, গোল বেগুন ১৬০ টাকা। অথচ কদিন আগেও বেগুনের দাম ছিল ৮০-১০০ টাকা।

 

বাজারে ভারতীয় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, আগে কেজি ছিল ১২০ টাকা। চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০ টাকা; মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৬০ টাকা; চিচিঙ্গা ৮০; পটল ৬০; ঢেঁড়স ৬০; কচুর লতি ৮০; পেঁপে ৪০; মুলা ৮০ টাকা; বরবটি ১২০ ও ধুন্দল ৭০-৮০ টাকা কেজি।

 

ফুলকপি-৮০, বাঁধাকপি- ৬০ টাকা। সিমের কেজি ৬০ টাকা; গাজরের কেজি ১২০, করলার কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, আগে কেজি ছিল ২৪০ থেকে ২২০ টাকা। এছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।

 

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আলামিন বলেন, প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বাজারের সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। পেঁপে ছাড়া, ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নাই।

 

এসব বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়, আগে কেজি ছিল ৬০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়, আগে কেজি ছিল ৮০-৯০ টাকা। বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। ভারতের কেরেলার আদা কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। চায়না রসুনের কেজি ১৮০-২০০ টাকা। দেশি রসুনের কেজি ২০০-২২০ টাকা।

 

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কম থাকায় বাজারে দাম বেড়েছে। বর্ডার এলাকায় পেঁয়াজের দাম এখন অনেক বেশি। পূজার পরে বাজারে পেঁয়াজের আমদানি বাড়বে। তখন দাম কমবে।

 

এ দুই এলাকার বাজারে মুরগির দাম বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়, গত শুক্রবার কেজি ছিল ২০০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়, আগে কেজি ছিল ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকায়।

 

বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, দাম বাড়া-কমার মধ্যেই আছে। শুক্রবার এলে দাম ২০-৩০ টাকা বাড়ে কেজিতে। আর সপ্তাহের অন্য দিনগুলোয় কমে যায়। কারবারি বা ফার্মের মালিকরা নানা অজুহাতে দাম বাড়ায়। মূলত সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ে-কমে।

 

বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়। আগে ছিল ১৫০ টাকা ডজন। আর এখন পাড়া-মহল্লার দোকানে হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২৫-২৩০ টাকায়। হালি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়, আগে ছিল ৭০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০ টাকা।

 

কালশী বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. রমজান বলেন, ফার্মের মুরগির ও হাঁসের ডিমের দাম বাড়ছে। ডজনে ১০ টাকা করে দাম বেড়েছে। বন্যার কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

 

বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১০৫০ টাকায়।

 

বাজারে খোলা চিনির দাম প্রতি কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা। খোলা আটার কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা; প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের দাম কেজি প্রতি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ৯৫-১০০ টাকা।

 

সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ টাকায়। লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা।