আজ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০

শোকার্ত বিপর্যয়ের চিন্তা থেকে সৃজনশীল পরিকল্পনায় সাংবাদিক সেকান্দর আলম বাবরের এক অসামান্য অবদান

কাজী আয়েশা ফারজানা, বোয়ালখালী প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৭ নভেম্বর ২০২১ ০৪:২৮:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

প্রায় ছয় বছর আগে মাকে হারিয়েছেন দৈনিক পূর্বকোণের বোয়ালখালী প্রতিনিধি ও একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক সেকান্দর আলম বাবর। নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা করার কথা মায়ের জানাযা ও দাফনের স্থান। তবে মায়ের জানাযার স্থান নির্ধারণ করতে গিয়ে পড়তে হয়েছে বিপাকে। শুধু তিনিই নয়, ঐ এলাকার জনসাধারণও পরিবারের কারো জানাযার স্থান ও কবর নির্ধারণ করতে গিয়ে হয়েছেন সমস্যার সম্মুখীন। সেই থেকেই মনে লালন করেছেন এলাকাবাসীকে যাতে পরিবারের কারো জানাযার নামাজ ও দাফনে সমস্যায় পড়তে না হয়। বাবর শোকার্ত বিপর্যয়ের চিন্তা থেকে সৃজনশীল পরিকল্পনায়  মায়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবসায় তার সর্বস্ব দিয়ে ও এলাকার মানুষের সহযোগীতায় একক চেষ্টায় এলাকায় গড়ে তুলেছেন ঈদগা,গণ কবরস্থান ও মসজিদ।

 

বলছিলাম চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম খরণদ্বীপ এলাকার লালিত স্বপ্নের বাস্তবরুপ দেয়া এক অদম্য যুবক  সংবাদ কর্মী সেকান্দর আলম বাবরের কথা। ঐ এলাকায় কোনো মানুষের মৃত্যুতে পরিবারের লোকজনকে অনেক সমস্যা পোহাতে হয়েছে। নিজের আপন মানুষদের জানাযার নামাজের ব্যবস্থা ও দাফন করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষদের। এ জন্য সাংবাদিক সেকান্দর আলম বাবর এলাকায় তৈরি করেন ‘ইদ্রিস আনোয়ারা গণকবর স্থান’ নামে একটি গণকবর স্থান। সাধারণ মানুষদের দাফনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

 

শুধু তাই নয়; জানাজা ও ঈদের সময় মুসল্লিরা যাতে ভালোভাবে নামাজ আদায় করতে পারে সেজন্য তৈরি করেছেন নজর মোহাম্মদ শাহ ঈদগাহ ময়দান। এখানে এক সঙ্গে ছয় হাজার মসল্লি জানাজার নামাজ আদায় করতে পারবেন। একই সঙ্গে মুসল্লিরা পাঁচ ওয়াক্ত ও জুমার নামাজ আদায় করতে পারার মতো নির্মাণ করছেন দ্বিতল বিশিষ্ট বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ। 

 

শোকার্ত বিপর্যয়ের চিন্তা থেকে সৃজনশীল পরিকল্পনায় রুপ নিলো এক অসামান্য অবদান। যা এখন পশ্চিম খরণদ্বীপবাসীর জন্য অতিমূল্যবান হিসেবে স্থান পেয়েছে।  এখন আর কারো মা, বাবা বা আত্মীয় স্বজনের দাফন ও জানাযায় নানা বির্পযয়ের সম্মুখীন হতে হয় না। এছাড়া আগত সাধারণ মুসল্লিগণকেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে আজ দীর্ঘ ছয় বছর ধরে সেকান্দর আলমের এক উদ্যোমী চেষ্টায় ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে মসজিদ, ঈদগাহ ও গণকবর স্থান। শেষ ঠিকানার কবরস্থানে নিরাপদ আশ্রয় পাওয়ায় এলাকার মানুষ খুশি।