স্মার্ট কক্সবাজার ও আওয়ামী লীগের উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব মছলেহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সন্তান। আমার নানা মরহুম শমসের আলম চৌধুরী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও ১৯৮৬ সালে উখিয়া-টেকনাফ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন।
পিতা ও নানার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমি দীর্ঘদিন যাবত কৃষক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও কোন দুর্নীতি, দুর্নাম আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে আমি দলীয় মনোনয়ন চাই।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের এসএম পাড়ায় সবুজেঘেরা নিজের কৃষি খামারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আতিক উদ্দিন চৌধুরী।
সেখানে তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের প্রত্যাশার কথা জানান।
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব রশিদ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা দেন আতিক উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি নির্বাচন। দেশের স্বার্থে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। কক্সবাজার-৩ আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে বিতর্কমুক্ত প্রার্থী দরকার। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, দাবি ও চাপের মুখে নির্বাচনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে আতিক উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মেধা, শ্রম ও সততার সাথে কক্সবাজার জেলা কৃষকলীগের সকল নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে ৬৭৯টি ওয়ার্ড, ৭১টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভা সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করি। যা সারাদেশে প্রশংসিত হয়েছে। সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করায় বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি কক্সবাজার জেলাকে “মডেল কৃষকলীগ” হিসেবে ঘোষণা করেন। “মুজিববর্ষ” উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে “বৃক্ষরোপন কর্মসূচী-২০২১” সর্বোচ্চ গাছের চারা রোপন করা সারাদেশে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ কর্তৃক কক্সবাজার জেলাকে “১নং জেলা” হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে শ্রমিকের অভাবে গরীব, অসহায়, কৃষকদের রোপনকৃত পাকা ধান কেটে মাড়াই করে কক্সবাজার জেলা কৃষকলীগ।
আতিক উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিভাজন, অন্তঃকোন্দলের কারণে কক্সবাজার সদর আসনটি আমরা বারবারই হারিয়েছি। এখানকার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হলে আমাদের হারাবার কেউ নাই। কক্সবাজারের মডেল কৃষক লীগ সারাদেশের জন্য দৃষ্টান্ত। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক, হৃদ্যতা চমৎকার। বিভক্তি ছুতে পারেনি আমাদের। ঐক্যবদ্ধতার সাহস নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এই যাত্রায় সফল হবো।
দলীয় মনোনয়ন না পেলেও কেমন ভূমিকা হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আতিক উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের আদর্শ। আমি নিঃস্বার্থভাবে আওয়ামী লীগ করি। মনোনয়ন পাইবা না পাই, দল যাকে প্রার্থী দিবে তার পক্ষেই কাজ করব। শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে সর্বোচ্চ ত্যাগ করে মাঠে থাকব।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক জাতীয় পরিষদ সদস্য এম.এ হাসেম, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি এড. মোস্তাক আহমদ, আনিসুল হক চৌধুরী, জাকারিয়া চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো.শাহাদত হোছাইন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সদস্য ইয়াকুব আলী ইমন, সদর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি সেলিম উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মনসুর আলম, রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও রামু উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন, সহ-সভাপতি আপন বড়ুয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম, ঈদগাঁও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ভুট্টো, শহর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক তামজিদুল ইসলাম মিন্টু, সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন,
আবদুল লতিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ মোস্তফা, শহর নেতা অনুব্রত ধর অনুপসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আতিক উদ্দিন চৌধুরী কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকার মরহুম আলহাজ্ব মছলেহ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।
পেশাগতভাবে তিনি একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার।
রাজনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে যুক্ত আছেন আতিক উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি কক্সবাজার টিএমসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাস টার্মিনাল হযরত ওমর (রা.) জামে মসজিদ, লিংকরোড জুলেখা খাতুন জামে মসজিদের সভাপতি, লিংকরোড তাহেরা বেগম চৌধুরী এতিমখানা ও হিফজখানার প্রতিষ্ঠাতা ও আলহাজ্ব মছলেহ্ উদ্দীন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।