আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ফাঁসির আসামি পিন্টু আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৬ জুন ২০২২ ০৩:০৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)। এ মামলায় ২০১৯ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

১৯৯৪ সালে দিনাজপুরে যাওয়ার সময় পাবনার ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের হয় পিন্টুর বিরুদ্ধে। তার নামে মৃত্যুদণ্ডসহ ১৯ মামলা রয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

র‌্যাব জানায়, শনিবার (২৫ জুন) রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি অস্ত্রসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা, পিন্টু পাবনা অঞ্চলের প্রভাবশালী চরমপন্থি দলের প্রভাবশালী সদস্য। তার নিজেরও একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ছিল।

রোববার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, পিন্টু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদীতে ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে সন্ধ্যা আনুমানিক সোয়া ছয়টার দিকে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

ওই ঘটনায় ঈশ্বরদীর জিআরপি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিকে দিলে সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তা ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল মোট ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এর মধ্যে ৫ জন আসামি মারা গেলে তাদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাকি ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

পরে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত।

র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, আটক জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বে ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ বিভিন্ন অরাজকতা চলতো। ১৯৮৮ সালে ও পরবর্তীতে বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ততায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। ওই সকল মামলায় গ্রেফতার এড়াতে তিনি এলাকা ত্যাগ করে ২০০৪ সাল থেকে ঢাকার মিরপুরে বসবাস শুরু করেন। তার পরিবার ঢাকায় থাকলেও নিয়মিত ঈশ্বরদীতে যাতায়াত করতেন। তিনি ২০১৫ সালে ঈশ্বরদীতে উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন।