আজ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন বিদ্যুৎ বড়ুয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৩৭:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

 

জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের যুবাদের অনন্য মানবিক অবদানের স্বীকৃতি দিতে ‘ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০’-এর অধীনে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর নামে ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই অ্যাওয়ার্ড পেলেন দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল ‘চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল’র প্রতিষ্ঠাতা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন তাঁর হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।  

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। অনুষ্ঠানের শুভ কামনা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ধন্যবাদ জানান।  

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক তাঁদের একক ও দলীয়ভাবে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।  

এদিকে মহামারি করোনায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দৃঢ় নেতৃত্বে এ বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সংকট থেকে সফলভাবে উত্তরণ করতে পেরেছে। যা প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বব্যাপী একজন আদর্শ পথিকৃৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অপরদিকে, কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও আহ্বানে বাংলাদেশের যুবারাও অদম্য মানসিকতাকে তুলে ধরে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এ অনন্য মানবিক অবদানের স্বীকৃতি দিতে ‘ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০’-এর অধীনে প্রথমবারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।  

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া  ২০২০ সালে করোনা  ক্রান্তিকালে মাত্র ১৪ দিনে নাভানা গ্রুপের জায়গায় সাধারণ জনগণের সহায়তায় করোনা রোগীদের সেবা প্রদানের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশে দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল ‘চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল’ গড়ে তুলেছিলেন। যা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে অনন্য খ্যাতি অর্জন করেছে। আন্তরিকতা, সেবা ও ভালোবাসাকে মূলমন্ত্র ধরে রোগীদের চিকিৎসা, ওষুধ, খাবার ও ল্যাবটেস্টসহ সবকিছু বিনামূল্যে ব্যবস্থা করেছিল। চিকিৎসক নার্স ভলান্টিয়ারসহ সবাইকে নিয়ে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া রোগীদের সঙ্গে একই ছাদের নিচে থেকে সেবা দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করে। পরবর্তীতে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালকে দেখে দেশব্যাপী বিভিন্ন কোভিড আইসোলেশন সেন্টার, অক্সিজেন ব্যাংক গড়ে উঠেছিল।  

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, আমরা চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল (এপ্রিল ২১, ২০২০) শুরু করি কোনো কিছু পাওয়ার বা সন্মাননা বা পুরস্কার বা স্বীকৃতির জন্য নয়। একজন চিকিৎসক হিসেবে দেশের মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ পেয়েছিলাম, তা কাজে লাগিয়েছি  - আর কিছু নয়।  সমাজ, রাষ্ট্র ও দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে করেছি। আমি ও আমার মানবিক ভলান্টিয়ার জীবিত ও সুস্থ হয়ে বেঁচে আছি - এটাই আমাদের কাছে  বড় পুরস্কার বা সম্মাননা। আর মানুষের দোয়া আর ভালোবাসা বোনাস -এর চেয়ে বেশি কিছু। আত্মতৃপ্তি এইটুকু - এই জীবনে মানুষের জন্য কিছু করেছি - গর্ব করে বুক ফুলিয়ে বলতে পারি। কৃতজ্ঞ সাধারণ মানুষ ও নাভানা গ্রুপের প্রতিও। এ পুরস্কার বিশ্বের ভলান্টিয়ারদের প্রতি উৎসর্গ করলাম।  

ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে সুইডেনের কারোলিন্সকা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক হেলথে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। ইতিমধ্যে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ‘চিকিৎসক রত্ন’ খেতাব অর্জন সহ হেলথ কেয়ার হিরো, আইডিয়াল ডক্টর খেতাব অর্জন করেন। তিনি পরবর্তীতে অক্সফাম বাংলাদেশের মেডিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। তিনি এখন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক পদে নিয়োজিত আছেন।

এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) সেক্রেটারি জেনারেল, অ্যাম্বাসেডর হিসেইন ইব্রাহিম তাহা। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, রাশিয়ার যুব বিষয়ক ফেডারেল এজেন্সির প্রধান (মন্ত্রী) সেনিয়া রাজুভায়েভা, মালদ্বীপের যুব, ক্রীড়া এবং সামাজিক ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের আহমেদ মাহলুফ, তাতারস্তান প্রজাতন্ত্র যুব মন্ত্রী তিমুর সুলেমানভ, ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়্যুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ) প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী মো জাহিদ আহসান রাসেল প্রমুখ।

 

 

 

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়