- চকরিয়া কেন্দ্রে ৩৩টি স্কুল ও মাদ্রাসার ১ হাজার ১শত ২৭ শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ।
- ৫ দাপে ৯ উপজেলার ১১টি কেন্দ্রে এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে অনন্য অবদান রেখে যাচ্ছেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত মেধা বৃত্তি পরীক্ষী। আল-আমিন সংঘের আয়োজনে মজুমদার ফাউন্ডেশন উদ্যোগে এই বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালিত হয়। সুদীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের মধ্যদিয়ে অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও সুনামের সহিত এ মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় আসছে। তারই ধারাবাহিকতার আলোকে প্রতি বছরের ন্যায় এবার চকরিয়া উপজেলায় প্রথম বারের মতো শনিবার (২ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজ কেন্দ্র ও চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে দ্বিতীয় দফার বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়।
অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষায় চকরিয়া উপজেলার দুটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩৩টি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজার ১শত ২৭জন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন।
পরীক্ষা কেন্দ্র ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরে এগারটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫ দফায় ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ৯টি উপজেলার মধ্যে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত মেধা বৃত্তি পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় চকরিয়া উপজেলার ৩৩টি স্কুল-মাদরাসার প্রায় সাড়ে ১১শত শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষায় নার্সারী থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেছে।
প্রত্যেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ভাবে সিলেবাস প্রণয়ন করে তা দুই মাস পূর্বে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ও স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে বৃত্তি পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত মেধা বৃত্তি পরীক্ষার পরিচালক জহির উদ্দিন মজুমদার জানান, শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ও ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে মহীয়সী নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত নামে এ মেধা বৃত্তি পরীক্ষা চালু করা হয়। তার নামানুসারে অদূর ভবিষ্যতে বাঁশখালী ও কক্সবাজারের প্রতিবন্ধী স্কুল করার পরিকল্পনা রয়েছে। বৃত্তি পরীক্ষা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে অত্যন্ত স্বচ্চতা ও সুচারুভাবে এই মেধা বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালিত হয়ে আসছে। দিন দিন এই বৃত্তি পরীক্ষার সুনাম বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে পড়লে বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছরে এ বৃত্তি পরীক্ষার আরো ব্যাপক প্রসার ঘটে। যার কারণে উৎসব মুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা তাদের সন্তান নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে যে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে তা সত্যি প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষাটি চমৎকার পরিবেশের মধ্যদিয়ে সুন্দর, সুচারু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে পেরে তিনি শোকরিয়া জ্ঞাপন ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছোটখাটো যে বিচ্যুতি ঘটেছে তা মার্জনার চোখে দেখার জন্য অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।