লালখান বাজারে ফুটওভার ব্রিজ এর দাবিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মুখে গাড়ি চলাচলে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন লালখান বাজার এলাকার বাসিন্দারা।
অবস্থান ধর্মঘটের নেতৃত্ব দেন লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা।
ওই সময় ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন উপস্থিত থেকে এ দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন।
২৭ জুন বৃহস্পতিবার বিকালে লালখান বাজার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মুখে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়।
তারা বলেন, লালখান বাজার এলাকার ইস্পাহানী মোড়টি মহানগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, কিন্তু তা পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনিরাপদ। এ স্থানে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আখতারুজ্জমান চৌধুরী ফ্লাইওভার ও নগরীর প্রধান লাইফ লাইন সিডিএ এভিনিউ, এম এম আলী সড়কের সংযোগস্থল হওয়ায় প্রতিনিয়ত বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করে। সেই সাথে চকবাজার, কাজীরদেউরি, ওয়াসা, হাইলেবেল সড়কের সংযোগস্থল হওয়ায় প্রতিনিয়ত বিপুলসংখ্যক পথচারী পারাপার হয়ে থাকেন। ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় রাস্তা পারাপারে প্রায় এই স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সাথে এই স্থানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বক্তাগণ সকলেই নগরীর ব্যস্ততম লালখান বাজার মোড়ে ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ পথচারী পারাপারে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাসিক সাধারণ সভায় সিটি মেয়র রেজাউল করিমের উপস্থিতিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এর প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেছিলেন, লালখান বাজারে ফুট ওভার ব্রিজ করে দেওয়া হবে। সিডিএ এর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস মেয়রের কাছে গিয়ে বলে এসেছিলেন লালখান বাজার মোড়ে সিডিএ এর পক্ষ থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু করার আগে ফুট ওভার ব্রিজ করে দেওয়া হবে। সে কারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে লালখান বাজারে ফুটওভার ব্রিজ করার পরিকল্পনা নেননি।
তারা এখন আমাদেরকে বলছে ফুট ওভার ব্রিজ করা হবে না। প্রকল্পের মধ্যে ফুট ওভার ব্রিজ নেই। তাই আমরা এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। ফুট ওভার ব্রিজ না করা পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।
ওই সময় লালখান বাজার মোড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় দুই ঘন্টা আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি চলাচল
বন্ধ রাখা হয়। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ মুঠোফোনে কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলালকে ফুট ওভার ব্রিজ করে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হলে তাদের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
